বিলোনিয়া থানার হাতে আবারো আটক এক বাংলাদেশি মহিলা। নাম শিমুল আক্তার। বিলোনিয়া থানাধীন আমজাদ নগর এলাকা থেকে আটক করে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। আমজাদ নগরের ডলি আক্তার এর বাড়ি থেকে তাকে বিলোনিয়া থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে থানায়। এর সাথে জড়িত রয়েছে আমজাদ নগরের সুমন মিয়া। শিমুল আক্তারের বক্তব্য থেকে উঠে আসে সুমন মিয়ার নাম। যদিও এই মহিলার কাছে সমস্ত রকমের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের নথিপত্র রয়েছে। কিন্তু তারপরও তার কাছে রয়েছে বাংলাদেশের গ্রামীন সিম। সে জানায় তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বনগাও। যদিও ওর কাগজপত্রের ঠিকানা রয়েছে দিল্লি এবং চন্ডিগড়ের ঠিকানায়। নিজেকে ভারতীয় বললেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি এদেরকে চিনেনা। সে নিজের গ্রামের নাম ও জানেনা সে। ভারতীয় টাকায় কারছবি সেটাও জানে না ,সে জানায় ভারতীয় টাকা ইন্দিরা গান্ধীর ছবি রয়েছে। কিন্তু তারপরও সে মুখে কুলু পেতে রয়েছে, মুখ খুলছেননা। এখানে আসার কারণ সম্পর্কে সে জানায় ডাক্তার দেখাতে এসেছে। হার্টের সমস্যা রয়েছে ওর। পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে এসে বিলোনিয়া তে হার্টের ডাক্তার দেখাবে। ওর কথাবার্তা থেকেও অসংলগ্নতা এমন ভাবে ধরা পড়েছে যা সন্দেহের সৃষ্টি করছে। অনুমান করা হচ্ছে কোন না কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে সে জড়িত থাকতে পারে, বিশেষ করে স্লিপার সেলের ও লোক হতে পারে। এখন দেখার বিষয় ডলি আক্তার এবং সুমন মিয়ার নাম পাওয়ার পরে বিলোনিয়া থানার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের কি উঠে আসে , এখন দেখার বিষয় সীমান্ত পারাপারের সাথে রাঘব বোয়ালদের ধরতে কতটুকু সফল হয় বিলোনিয়ে থানা।