জাতীয় সড়ক নয় এযেন মরণফাঁদ, যে কোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বারবার সংবাদমাধ্যমে এই জাতীয় সড়কের দুরবস্থার কথা সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হওয়া সত্ত্বেও কর্ণপাত করছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনায় জানা যায়, দীর্ঘ এক বছর যাবত বারবার সংবাদমাধ্যমে তেলিয়ামুড়া মহকুমার আঠারোমুড়া পাহাড়ের জাতীয় সড়কের বেহাল দশার কথা সম্প্রচার হওয়ার পর আঠারোমুড়া পাহাড়ের এই জাতীয় সড়ক কে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে বহি রাজ্যের এক বেসরকারি কোম্পানি হাত লাগায় কাজে। এক প্রকার অবৈজ্ঞানিক প্রথা এবং যান চলাচলের বিকল্প রাস্তা না থাকায় বেগ পোহাতে হচ্ছে ওই রাস্তা ধরে আসা বহি রাজ্যের লরী চালকদের। ওই সংস্থার কাজ বর্তমানে বর্ষাকালীন পরিস্থিতিতে মুখ থুবরে পড়ে আছে জাতীয় সড়কের সংস্কারের ও সম্প্রসারের কাজ। আর কিছু কিছু অংশের কাজ করার ফলে বর্তমানে আঠারমুড়া পাহাড় এর বেশ কিছু জায়গায় জাতীয় সড়কের অবস্থা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে আছে। যা, যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাতে প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে শুভবুদ্ধির মহলের অভিমত। জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লক -এর অধীন মুঙ্গিয়াকামি বাজার পেরিয়েই বেশ কিছু স্থানে জল জমাট বেঁধে জাতীয় সড়কের অবস্থা খুবই করুন দশায় পরিণত হয়ে আছে। ৪১ মাইল, ৪৩ মাইল, ৪৫ মাইল, ৪৭ মাইল ও ৪৮ মাইল এলাকার বেশ কিছু স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে জাতীয় সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। নজর নেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং বর্তমানে ওই এলাকার কাজে নিযুক্ত ওই বেসরকারি সংস্থা তথা নীতিন সাই কোম্পানির। এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে এক বহি রাজ্যের লরিচালক জানান, এই আঠারোমুড়া এলাকার জাতীয় সড়ক পার হয়ে আগরতলায় যেতে প্রচন্ডভাবে বেগ পোহাতে হচ্ছে প্রত্যেকটি চালকদের। শুধু তাই নয় প্রত্যেকটি গাড়ির লোকসান তথা মেনটেনিস খরচ বেড়ে যায় ওই জায়গা পার হয়ে যেতে গেলে। ওই পাহাড়ের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার জায়গা খুবই করুণ অবস্থা বলে জানান ওই লরি চালক। তবে বর্তমানে ওই এলাকার জাতীয় সড়কের যে অবস্থা সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা বর্তমানে সংস্কার কাজে নিযুক্ত বহি রাজ্যের ওই সংস্থা যদি অতিসত্বর ওই রাস্তা মেরামতের কাজে হাত না দেয় তাহলে যেকোনো সময় স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক তথা আমবাসা থেকে তেলিয়ামুড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা।