এলাচি লেবুর দাম নিম্নমুখী হওয়াতে ক্ষুদ্র লেবু চাষিরা দিশেহারা। দাবি সরকারি সাহায্যের। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহাকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হাওয়াই বাড়ি এলাকায়। সুদীর্ঘ বহুকাল ধরে তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হাওয়াই বাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় উৎপাদিত সু-স্বাদু রসালো এবং স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এলাচি লেবু রাজ্য সহ বহিঃ রাজ্যের বাজারে চাহিদা বিপুল পরিমাণে রয়েছে। তবে এলাচি লেবু উৎপাদন বেশি হলে বেশি পরিমাণে যোগান দিতে পারে এলাচি লেবু চাষিরা।অনেক অনেক লেবু চাষিরা রয়েছেন যারা লেবু চাষের উপর নির্ভর করে সংসারের যাবতীয় ভরণপোষণ জুটিয়ে আসছে অনাদিকাল থেকে। লেবু চাষের জমি তৈরি করা থেকে শুরু করে বছর বছর পরিচর্যার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়। অনেক বছর লেবুর উৎপাদন কম থাকলে চাষিরা লাভের মুখ খুবই কম দেখেন। আবার অনেক সময় উৎপাদন বেশি হলেও লাভের মুখ তেমন ভাবে দেখেন না।কারণ একটাই উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে লেবুর দাম তুলনামূলক কমতে থাকে। আর তাতে করে লেবু চাষিরা লেবু বাজারজাত করে থাকলেও সেই রকম মুনাফা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। হাওয়াই বাড়ি এলাকার এলাচি লেবু সুস্বাদু রসালো এবং স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হওয়ার কারণে রাজ্য এবং বহি রাজ্যের বাজারগুলিতে চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। বর্তমানে হাওয়াই বাড়ি ছাড়াও কুকি বস্তি, ছংলং পাড়া, তুই চাকমা সহ বড়মুড়া পাহাড় এর বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষেরা এলাচি লেবু চাষ করে থাকে। এদিকে এক এলাচি লেবু চাষী তথা ভুঙ্গাপু কুমার বিস্তারিত জানান, এলাচি লেবু বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবছর অনেকাংশেই ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পাইকারি দরে লেবু বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০০ টাকায় ১০০০ এলাচি লেবু। আর তার ফলে লেবু বাগানের পরিচর্যার টাকা ও উঠবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। তিনি আরো জানান, প্রতিবছরের লেবুর বিক্রির উপর সংসারের ভরণপোষণ জুগিয়ে থাকে ভুঙ্গাপো কুকি। তবে সরকারি সাহায্য পেলে লেবু চাষিরা লেবু উৎপাদনে উৎসাহ পাবে। তবে এখন দেখার বিষয় লেবু চাষের জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষির তত্ত্বাবধায়ক লেবু চাষীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনুপ্রাণিত করতে কতটুক সময় নেয়।।



