তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধিন চাকমাঘাট এলাকার হারাধন পাড়ার শান্তি লঙ্গার গভীর জঙ্গলের একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হল একটি মৃত হাতী শাবকের। হাতী শাবকের মৃত্যুকে নিয়ে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহলে বনদপ্তরের প্রতি সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে দিয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমায়। জানা যায়, শনিবার স্থানীয় এলাকার এক যুবক গরু চরাতে এলে প্রত্যক্ষ করতে পারে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় কি যেন একটা পড়ে রয়েছে। পরবর্তীতে সে জলে নেমে দেখতে পায় একটি মৃত হাতী শাবক পড়ে রয়েছে উপরের জলে। তৎক্ষনাত তার চেঁচামেচিতে ছুটে আসে এলাকার লোকজন। এলাকাবাসীরা ঘটনাটি প্রত্যাক্ষ করে ফোন যুগে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের SDFO সাবির কান্তি দাস কে জানানোর চেষ্টা করে। বার বার ফোন করা সর্তেও এলাকাবাসীর ফোন কলটি রিসিভ করার প্রয়োজনটুকু মনে করেননি SDFO বাবু। পরবর্তী সময় এলাকাবাসিরা জেলা বন আধিকারিককে ঘটনা স-বিস্তারে বললে ঘটনাস্থলে কাল বিলম্ব না করে বন দপ্তরের কর্মিদের পাঠানো হয়। বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়ে হাতী শাবকটির মৃত্যু সত্যতা পায়। এই হাতী শাবকের মৃত্যুর ব্যাপারে SDFO শাবির কান্তি দাসের কাছে জানতে চাইলে উনি কোনো প্রকার সহায়তা করেনি সাংবাদিকদের। উল্টো উনার দপ্তরে গিয়ে হাতী শাবকের মৃত্যুর কারন সম্পর্কে বক্তব্য নিতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন। এদিকে এলাকাবাসীরা জানায়, হাতির শাবকের মৃত্যু আনুমানিক ২-৩ দিন হতে পারে। এবং এক সপ্তাহের ভিতরে হাতির শাবক এর জন্ম হয় এমনই ধারণা এলাকাবাসীদের। এই দুর্বল হাতি শাবকটির জল খেতে এসে তার মৃত্যু হতে পারে বলে একাংশ এলাকাবাসীরা ধারণা করছে। এদিকে যদিও, তেলিয়ামুড়া মহকুমার জঙ্গলে বন্য দাঁতাল হাতি সংরক্ষণে এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও তাদের বর্তমান পরিস্থিতির অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা দরকার ছিল তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় একটি হাতির শাবকের জন্ম হলেও বনদপ্তরের কাছে কোন খবর ছিল না। এদিকে হাতির শাবকটির কি কারণে মৃত্যু ঘটেছে ময়নাতদন্ত ক্রমেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।



