আইএলএস হাসপাতাল, আগরতলা NHM এবং আলি ইয়াভার জং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং ডিজঅ্যাবিলিটিজ , মুম্বাইয়ের সহায়তার বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা করছে। শিশুদের প্রাথমিক স্ক্রীনিং NHM দ্বারা করা হয় এবং শিশুদের বিশদ স্ক্রীনিং এবং শ্রবণযন্ত্রের জন্য আইএলএস হাসপাতালে পাঠানো হয় । শ্রবণ সহায়তার খরচ NHM দ্বারা পরিশোধ করা হয়। সিটি স্ক্যান, এমআরআই ইত্যাদির মতো উচ্চ পর্যায়ের পরীক্ষা করা হয় এবং যাদের কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের প্রয়োজন তাদের সার্জারির অনুমোদনের জন্য AYJNIHH-এর কাছে পাঠানো হয়। AYJNIHH এই ধরনের প্রতিবন্ধকতায় ভোগা শিশুদের ইমপ্লান্টেশনের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সরবরাহ করে। অস্ত্রোপচারের পর ইমপ্লান্ট করা শিশুদের তাদের পুনর্বাসনের জন্য স্পিচ থেরাপি নিতে হয়। AYJNIHH সার্জারি এবং পুনর্বাসন থেরাপির খরচ পরিশোধ করে।
2016 সালে আইএলএস হাসপাতালে প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি করা হয়েছিল। তারপর থেকে মোট 19টি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি করা হয়েছে। সার্জারি এবং ফলো-আপ স্পিচ থেরাপি শিশুদের উপকার করেছে যারা এখন ধীরে ধীরে শুনতে ও কথা বলতে শিখছে। আজ থেকে মোট ৫ (পাঁচ)টি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি করা শুরু হয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে আগরতলায় এসেছেন ডাঃ অমিতাভ রায় চৌধুরী কলকাতার বিশিষ্ট ইএনটি সার্জন যাকে AYJNIHH দ্বারা এই ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য পরামর্শদাতা হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে । তাকে আইএলএস হাসপাতালের ইএনটি সার্জন ডাঃ ঋতুপর্ণা সাহা সহায়তা করছেন।
আইএলএস হাসপাতাল শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং জন্মগতভাবে বধির শিশুদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য NHM এবং AYJNIHH এর সাথে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল (মিশন ডিরেক্টর এনএইচএম, ত্রিপুরা), ডাঃ অমিতাভ রায় চৌধুরী (ইএনটি সার্জন) , ডাঃ ঋতুপর্ণা সাহা (ইএনটি সার্জন), ডাঃ অর্চনা দত্ত (সিনিয়র ম্যানেজার মেডিকেল সার্ভিস), এবং মনোজ কুমার দেবনাথ (বিসনেস হেড- আইএলএস হাসপাতাল) এই সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নেন