Thursday, December 4, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঅমরপুর আনন্দধারা টাউনহলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন কৃষকদের...

অমরপুর আনন্দধারা টাউনহলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন কৃষকদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে

রাজ্যের কৃষকদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । এজন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাগুলি প্রান্তিক এলাকার কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । অমরপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় । অনুষ্ঠানে তিনি বলেন , রাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার কৃষক পিএম – কিষাণ প্রকল্পের আওতায় এসেছেন । আগে রাজ্যের কৃষকদের অর্থের জন্য মহাজনদের কাছে যেতে হতো । এখন কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা পৌঁছে যাচ্ছে । কৃষিমন্ত্রী বলেন , অমরপুর মহকুমায় কৃষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫৮২ মেট্রিকটন ধান সহায়কমূল্যে ক্রয় করা হয়েছে । কৃষির বিকাশে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । এজন্য কৃষকদের ভর্তুর্কিতে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব বলেন , কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার । পিএম – কিষাণ , প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা , জল জীবন মিশনের মতো প্রকল্পের সুযোগ রাজ্যের সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । তিনি বলেন , রাজ্য সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য গরীব অংশের মানুষের কল্যাণ । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন , রাজ্যের জনজাতিদের কল্যাণেও রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে । এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় জনজাতিদের সার্বিক বিকাশে ১৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে । রাজ্যের দীর্ঘদিনের ব্লু শরণার্থী সমস্যার সমাধান করা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে । ৫ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন , অমরপুর মহকুমাতেই ৭ হাজার ১৭৬ জন কৃষক পিএম কিষাণ প্রকল্পের আওতায় এসেছেন । তারা বছরে ৬ হাজার টাকা করে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাচ্ছেন । আগে কৃষকরা প্রতি কেজি ধান ১০-১২ টাকায় বিক্রি করতো । রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে এখন ১৯.৪০ টাকায় প্রতি কেজি ধান ক্রয় করছে । এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন । তিনি বলেন , কোভিড অতিমারী পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতায় । সারা দেশের গরীব অংশের মানুষকে এই সময়ে বিনামূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের প্রায় ২৫ লক্ষ লোক এই কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক রঞ্জিৎ দাস । স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার । জেলাশাসক তার বক্তব্যে জল জীবন মিশন , পিএম কিষাণ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জেলাভিত্তিক চিত্র তুলে ধরেন । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমরপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মন্টি দেবনাথ , অমরপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন বিকাশ সাহা , গোমতী জিলা পরিষদের সদস্য ফণীভূষণ চক্রবর্তী , কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা নভোজিত চাকমা প্রমুখ । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অমরপুর ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সুমন্ত রিয়াং ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twenty − eleven =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য