জনপ্রিয় জননেতা বিপ্লব কুমার দেবকে কাছে পেয়ে উচ্ছসিত কল্যানপুরবাসী
সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের সর্বকালের জনপ্রিয় জননেতা বিপ্লব কুমার দেব এর সফর ঘিরে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহের আবহ কল্যাণপুরে ।আজ রবিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী খোয়াই জেলার কল্যাণপুরের কুঞ্জবন স্কুলে সফরে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, এই সফরকালে বিপ্লব দেবের সাথে ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রীর ভগবান দাস, কল্যাণপুর এর বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, খোয়াই জেলার সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, সহ সভাধিপতি হরিশঙ্কর পাল, ছিলেন জেলাশাসক, মহকুমাশাসক সহ অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা। কুঞ্জবনে এসে প্রথমেই কুঞ্জবন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর প্রাপক কয়েকজন সুবিধাভোগীর বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
কুঞ্জ বন স্কুল মাঠে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের আসার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষরা উপস্থিত হতে থাকেন এবং অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন বিপ্লব দেব এর বক্তব্য শোনার জন্য। এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের সর্বকালের জনপ্রিয় জননেতা বিপ্লব দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বর্তমান সময়ে কোন কিছু পাওয়ার জন্য মিছিল-মিটিং করতে হয় না জনসাধারণ এমনিতেই সকল সুবিধা পেয়ে যান । তিনি আরো বলেন একটা সময় কল্যাণপুর লাল দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল, কমিউনিস্ট শাসনের সময় কিন্তু কমিউনিস্টদের সামনে উনি কখনো মাথা নত করেননি । উনি আরো বলেন বর্তমান সময়ে গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র মানুষ পি.এম.কে.ভি.ওয়াই প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন পাশাপাশি ঘরে ঘরে জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌছে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকের বাড়িতে, কৃষকরা কিসান নিধি প্রকল্পের লাভ সরাসরি পাচ্ছে । রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ, এই বিষয়টা একমাত্র মোদীর জন্য সম্ভব হয়েছে বলে বিপ্লব দেব দাবি করেন। আগামী দিনে বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করলেও রাজ্যবাসীর পাশেই থাকবেন এবং তিনি বলেন আগামী দিনে এভাবে আরো দ্রুতগতিতে কাজ করবেন বিপ্লব দেব দাবি করেন। এবং আগামী ২০২৩ নির্বাচনে আরো বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠিত হবে এ রাজ্যে। তিনি আরো বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীজির আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলশ্রুতিতে, প্রতি বাড়িতে পাকা ঘর নির্মাণের সুফল ত্রিপুরাতেও সার্থকভাবে রূপায়িত হচ্ছে। জনগণের আর্থ সামাজিক জীবনমান বিকাশের পাশাপাশি সর্বাঙ্গীন বিকাশের সম বিকেন্দ্রীকরণই হলো এ সরকারের লক্ষ্য।।



