বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৭শে ডিসেম্বর……অন্তরজলি যাত্রার পথে খোয়াই এর বিনোদন পার্ক বনবীথি। ধিরে ধিরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের খাতা থেকে মুছে যাচ্ছে বনবীথি পার্কটির নাম।একটা সময় রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে স্থান করে নেওয়া বনবীথি পার্কটি আজ অবজ্ঞা ও অবহেলার কারণে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। খোয়াই এর বনবিতি পার্ক নিয়ে প্রশাসনের চরম উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয়। একদিকে রাজ্য সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্র গুলিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অন্য দিকে বনবীথির মত বিনোদন পার্ক গুলি আজ বন্ধের পথে। তাতে করে সরকারের কোষাগারেও এর জন্য ভটার টান পরেছে।এমনকি রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রিকেটের মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলীকে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়েছেন যে নাকি পর্যটনের প ওয়ার্ডের মতলব জানেনা।উনি ক্রিকেট খেলায় দক্ষ তাই বলে উনাকে দিয়ে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের দিগন্ত প্রসারি হবে তার ভাবলে খুবই ভূল করছি আমরা। একটা সময় খোয়াইয়ের বনবীথি পার্কটি রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে অন্যতম স্থান করে নিয়েছিল। আজ তা জরাজীর্ণ ও ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না প্রশাসনের কর্মকর্তারা। খোয়াই এর কর্মরত সাংবাদিকরা শনিবার বিকেলে বনবীথি পার্কটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাতে পার্কটি জরাজীর্ণের চিত্র ফুটে উঠেছে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়। নৌকা ঘাটের বেহাল অবস্থা। বোর্ডগুলি ভগ্ন দশায় পড়ে রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেই। সেখান ছিল পেডেল চালিত বোট যার কোন হদিস নেই, চারিদিকে জঙ্গলে ঘেরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করার কোন উদ্যোগ নেই। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় একটা সময় ছিল এই ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে লোকে লোকারণ্য থাকতো এই পার্কর্টিতে। এখন আর সেই রকম লোকের সমাগম হয় না। অথচ এই পার্কটি যতটুকু জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে রাজ্যের বড় বড় পার্ক গুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দশটি পার্কের মধ্যে এটি একটি হবে। রাজ্যের পর্যটন দপ্তর ইচ্ছা করলে এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রে প্রথম দশ টির মধ্যে একটি করে দিতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা জানান অবজ্ঞা অবহেলার কারণে আজ বনবীথি পার্কটিতে আগের মত লোকসমাগম হয় না। এখন দেখার বিষয় এই বনবীথি পার্ক টিকে উন্নত করার স্বার্থে রাজ্য পর্যটন দপ্তর আগামী দিনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন প্রেমিদের জন্য।



