শুভম দেব , তেলিয়ামুড়া বড়দিনের আগমনে তেলিয়ামুড়া শহরে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের উষ্ণতা। মোহর পাড়ার ঐতিহ্যবাহী চার্চে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। চারপাশে রঙিন আলোকসজ্জা, তারার ঝালর আর সজ্জার বাহারে যেন এক টুকরো স্বর্গ নেমে এসেছে। ছোট্ট শিশুদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক—তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে শান্তা ক্লজের উপহারের জন্য।
তবে শহরের বাজারে দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন চিত্র। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ক্রিসমাসের কেনাকাটায় ভাটা পড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও ক্রেতার সংখ্যা আশানুরূপ নয়। এক দোকানদার বলেন, “আগে এই সময়ে দোকানে পা ফেলার জায়গা থাকত না, আর এখন ক্রেতার দেখা মেলা ভার।” মূল্যবৃদ্ধি ও আর্থিক অনিশ্চয়তা এই মন্থরতার মূল কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশেষ করে পোশাক, খেলনা ও উপহার সামগ্রীর দোকানগুলোতে বিক্রি কমে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
অন্যদিকে, চার্চ চত্বরে উৎসবের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। স্থানীয় যুব সমাজ ও স্বেচ্ছাসেবীরা একত্র হয়ে সাজাচ্ছেন বিশেষ প্রার্থনা সভা, ক্যারল গান, নাটক ও শিশুদের জন্য উপহারের আয়োজন। চার্চ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছরও বড়দিন উপলক্ষে থাকছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রার্থনা সভা।তবে কিছু নাগরিকের অভিমত, মূল অনুষ্ঠান সম্পর্কে আগেভাগে বিস্তারিত জানানো হলে আরও বেশি মানুষ অংশ নিতে পারত। কেউ কেউ মনে করছেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে অনুষ্ঠানসূচি প্রচার করলে শহরবাসীর অংশগ্রহণ আরও বাড়ত।
সবকিছুর পরেও, শহরবাসীর একটাই কামনা—সব ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে মিলেমিশে উদযাপিত হোক বড়দিন। আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মুখে, প্রতিটি ঘরে। বড়দিন হোক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব।



