জানা গেছে গোলাঘাটি বাজার সংলগ্ন নদীর পাশে নদীর পাড় ভাঙ্গন রোধে পাকা বোল্ডার তৈরির কাজের ঠিকাদারি পান আগরতলা শহরের সরস্বতী লোধ নামে এক মহিলা। গত এক বছর ধরে তিনি সেখানে পাকা বোল্ডার তৈরির কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে ওই এলাকার দীর্ঘদিনের কুখ্যাত বালি মাফিয়া সুকান্ত ঘোষ নদী থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে মেশিনের সাহায্যে বালি তুলে সেই বালি সর্বত্র বিক্রি করছে। ওই মহিলা ঠিকাদার যেখানে বোল্ডার তৈরির কাজ করছেন সেখানেই বালির স্তুপ করছিল ওই বালি মাফিয়া সুকান্ত ঘোষ। এতে নদীর পাড় আরো বেশি ভাঙ্গন শুরু হয় এবং তাতে নতুন ভাবে তৈরি করা বোল্ডার ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায় যার ফলে ওই মহিলা টিকেদার বালি মাফিয়া সুকান্ত ঘোষ কে নিষেধ করে সেখানে মেশিনের সাহায্যে যেন বালি না তোলা হয় কিন্তু তারপরেও সে কোন কর্ণপাত করে নি। শুক্রবার অন্যান্য দিনের মতো সেখানে কাজ সেরে ঠিকাদার সরস্বতী লোধ সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিলে কিছুদূর এগিয়ে যেতেই বালি মাফিয়া সুকান্ত ঘোষ গাড়ি নিয়ে এসে মোটা লাঠি দিয়ে ওই মহিলা ঠিকাদারের মাথায় আঘাত করে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। পরে অবস্থার বেগতিক বুঝতে পেরে বালুমাফিয়া সুকান্ত ঘোষ ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়ে। পরে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং ওই মহিলা ঠিকাদারের গাড়ি চালক মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালের রেফার করে দেয়। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি মৌখিকভাবে টাকারজলা থানায় এবং বিশালগড় থানার পুলিশকে জানানো হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলা ঠিকাদারের চিকিৎসা চলছে জিবি হাসপাতালে। এলাকা সূত্রে জানা গেছে বহু বছর ধরেই বালি মাফিয়া সুকান্ত ঘোষ কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে, যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে না সেই বালি মাফিয়া। অন্যদিকে সিপাহীজলা জেলার বন দপ্তরের আধিকারিকরা আর ভয়ে তার বালির আস্তানার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।



