বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২০শে নভেম্বর……বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে এগারটা নাগাদ কল্যাণপুর থানাধীন মানিক চন্দ্র পাড়া এবং প্রকাশ চন্দ্র পাড়ার দুইটি অবৈধ বালুর কুয়ারির মাঝখানে গ্রামের তিনটি ছেলে খেলতে যায় ।সেখান কার অবৈধ বালুর কুয়ারির একটি টিলা ভেঙে খেলায় মত্ত তিনটি শিশুর উপর সেই বালুর স্তুপটি ভেঙ্গে পড়ে তাতে ঘটনাস্থলেই দুইজন শিশু বালুর নিচে চাপা পড়ে প্রাণ-হারায়। মৃত দুইজন ছেলের নাম হল আয়ুশ দেববর্মা (৭) পিতা শ্রী মদন দেববর্মা বাড়ি মানিক চন্দ্রপাড়া, রূমাই দেববর্মা (৫) পিতা শ্রী রাজু দেববর্মা বাড়ি মানিক চন্দ্রপাড়া। তাদের মধ্যে জীবিত ছেলেটির নাম হলো রাং চাক দেববর্মা ( ৭) পিতা শ্রী রাজু দেববর্মা বাড়ি মানিক চন্দ্রপাড়া। জীবিত ছেলেটিকে পরে কল্যাণপুর হাসপাতালের চিকিৎসক খোয়াই জেলা হাসপাতালে পাঠান উন্নত চিকিৎসার জন্য। ওই জীবিত ছেলেটির চিকিৎসা চলছে খোয়াই জেলা হাসপাতালে। সব থেকে বড় বিষয় খোয়াই মহকুমা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধভাবে বড় বড় বালু,মাটির কুয়ারি তৈরি করছেন বালু মাফিয়ারা । এবং তারা বিভিন্ন স্থানে সেই মাটি নিয়ে আসা যাওয়া করে। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় এই বিষয়গুলি বনদপ্তরের নজরে কতটুকু আছে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। যদিও বা বনদপ্তর জানেন বালি মাটি আনার বিষয়ে। তারপরও বিভিন্ন মহলের অভিযোগ বালি ও মাটির মাফিয়ারা বনদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাড়তি কিছু উপঢৌকন প্রদান করে সারাদিনে একটি গাড়ি বালি বা মাটি আনার ভাইটালের অনুমোদন পায়। তাহলে সারাদিন এই অনুমোদন পত্রটি দিয়ে ব্যাপক হারে মাটি বা বালি এনে দেদার ব্যাবস্থা করে চলেছে। বিভিন্ন মহলের অভিমত বনদপ্তরের একাংশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বালি এবং মাটি কারবাড়ীরা উপরন্তু ভালোবাসার জন্য বালি ও মাটি কারবারিরা এইরকম ঘটনা সংগঠিত করছেন। এটা নতুন কিছু নয় প্রতিদিন বালি মাটি কারবারিরা নিয়ে যাচ্ছেন। বনদপ্তরের একাংশ কর্মকর্তারা দপ্তরের শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে সরকারি বেতন গুনছেন। অন্যদিকে বাড়তি কিছু পাওয়ার আশাতে বালি মাটি কারবারিরা নিজেদের মতো করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার যে ঘটনাটি ঘটলো দুটি শিশুর অসময়ে প্রাণ গেল এর জন্য দায়ভার কে গ্রহণ করবে? এইরকম হাজারো ঘটনা ঘটে চলছে। একই রকম ভাবে পাহাড় সমতলের গাছ প্রতিদিন ধংস হয়ে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না দপ্তরের পক্ষ থেকে। যদিও মাঝেমধ্যে কিছু কিছু অবৈধ কাঠ আটক করে সরকারকে জানান দেন বনদপ্তরের কর্মীরা কর্মে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অন্যদিকে এই শিশু দুটি মৃত্যুর ঘটনার পেছনে অনেক অংশেই বন দপ্তরকেই
দায়ি করেছেন সাধারণ জনগণ।



