বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১০ই নভেম্বর.…..খোয়াই পুর পরিষদের ভাড়া আদায়কারী শন্কর শুক্ল দাসের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা নয় ছয় করার অভিযোগ উঠেছে । এই বিষয়ে খোয়াই পুর পরিষদের কার্য নির্বাহী আধিকারিক ও খোয়াই মহারাজগন্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির কাছে ও অভিযোগ পত্র জমা করলেন নির্যাতিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই এর মহারাজগঞ্জ বাজার অর্থাৎ পুরান বাজারে খোয়াই পুর পরিষদের দ্বারা নিযুক্ত ভাড়া আদায়কারী শংকর শুক্ল দাস এর বিরুদ্ধে ৮ লক্ষ টাকার উপর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরন দিয়ে স্বপন দেবনাথ নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান খোয়াই পুর পরিষদ দ্বারা নিযুক্ত খোয়াই এর পুরান বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়কারী শংকর শুক্ল দাস পুর পরিষদের নির্ধারিত দৈনিক ভাড়া পাঁচ টাকার জায়গায় ভাড়া সংগ্রহকারি শংকর শুক্ল দাস নিজের মর্জি মাফিক ১৫ টাকা ২০ টাকা আদায় করছেন। এমনকি ভাড়া আদায় করি শংকর শুক্ল দাস দোকান বদ্ধ থাকলেও জোর করে ভাড়া আদায় করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। ভাড়া দিতে অসম্মতি জানালে ঐ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হুমকি দেয় যে তাদের দোকান বন্ধ করে দেবেন। এমন কি অনেক বন্ধ দোকান ভারা দিয়ে সেই ভারা নিজের পকেট ভরছে। শুধু তাই না খোয়াই পুরাতন বাজারে শাটার লাগানো ষ্টল রয়েছে ২০টা যার ভারা প্রতি মাসে ২০০ টাকা অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা বছরে ৪৮ হজার টাকা, আরও ৪৫ টি শেঠ ঘড় রয়েছে যার ভারা প্রতি মাসে ১০০ টকা অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা বছরে ৫৪ হাজার টাকা। সবজি শেঠ রয়েছে রয়েছে ২০টা যার ভারা ১০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ২৪ হাজার টাকা। এছাড়া ও ষ্ট্রীট ভেন্ডার রয়েছে তিনটি যাদের থেকে প্রতিদিন ভারা আদায় করে ১৫ টাকা করে অর্থাৎ দৈনিক ৪৫ টাকা মাসে ১৩৫০ বছরে ১৬ হাজার ২০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করেছেন।এই ধরনের ভাড়া আদায় কারী খোয়াই পুর পরিষদের দ্বারা নিযুক্ত শন্কর শুক্ল দাস গত ২০১৯ থেকে ৬ বছর ধরে একই ভাবে ভারা আদায় করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত সংগ্রীহীত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় সাটার ওয়ালা ষ্টল থেকে বছরে ৪৮ হাজার টাকা অর্থাৎ গত ছয় বছরে মোট অর্থ সংগ্রহ করেছ ২লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা।শেঠ ঘড় থেকে বছরে ৫৪ হাজার টাকা করে গত ছয় বছরে ভারা আদায় করেছে ৩লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। সবজি শেঠ থেকে বছরে ২৪ হাজার টাকা অর্থাৎ গত ছয় বছরে ভারা আদায় করে ১লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। ষ্ট্রীট ভেন্ডার থেকে বছরে ১৬ হাজার ২০০ টাকা করে গত ছয় বছরে ৯৭ হাজার টাকা আদায় করে। তাতে সমস্ত আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৪০ টাকা। তার মধ্যে অনেক শাটার ওয়ালা দোকান অন্য লোক কে ভারা দিয়ে সেই টাকাও পুর পরিষদে জমা না করে নিজের পকেটে ভরছে। গত ছয় বছরে এত গুলো টাকা ভারা বাবদ আদায় করার পর এর মধ্যে কতটুকু টাকা পুর পরিষদের কাছে জমা করেছে তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই না অর্থ সংগ্রহের রসিদ ও কাউকে সঠিক ভাবে দেয়না বলেও অভিযোগ রয়েছে।অন্য দিকে পুর পরিষদের বিভিন্ন সাফাই কর্মীদের বেতন সঠিক ভাবে প্রদান করতে পারছে না এই ধরনের রক্ত পিপাসু পয়সা খোর জোকদের জন্য।
এছাড়াও খোয়াই পুরান বাজারে কান পাতলেই খোয়াই পুর পরিষদের নিযুক্ত ভাড়া আদায়কারীর সম্বন্ধে বিভিন্ন অভিযোগ কানে আসে। শেষে গোটা বিষয়টি নিয়ে ঐ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা খোয়াই পুর পরিষদের মুখ্য কার্য কারী আধিকারিকের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ করেন এবং পুরান বাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনকে ও গোটা বিষয়টি জানান। এখানে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় খোয়াই মহকুমা এলাকার মধ্যে সবথেকে পুরনো বাজার এই মহারাজগঞ্জ বাজার তথা আজকের তারিখে পুরান বাজারটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এই বাজারের অধিকাংশ ক্রেতা এবং বিক্রেতা খোয়াই সুভাষ পার্ক মুখী। তারপরও কিছু অল্প সংখ্যক পুরনো ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যদি পুর পরিষদের নিযুক্ত ভাড়া আদায়কারী শংকর শুক্ল দাসের মতো ব্যক্তিরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জোকের মত চুষে চুষে খায় নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তাহলে তো যে কয়েকজন ব্যবসায়ী অবশিষ্ট রয়েছেন তারা তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দরজা বন্ধ করতে বাধ্য হবে ঐ শঙ্কর শুক্ল দাসের করনে।এখন দেখার বিষয় খোয়াই পুর পরিষদ এই অভিযোগটি কে কেন্দ্র করে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে শন্কর শুক্ল দাসের বিরুদ্ধে। এই ভাবে যদি জামা পাল্টানো স্বার্থান্বেষী লোকেরা জোকের মত সাধারণ মানুষদের চুষে খেতে থাকে তাহলে ২০২৮ শে সাধারণ মানুষ তার যোগ্য জবাব দিতে কুন্ঠা বোধ করবেনা বলে অভিমত প্রকাশ করে অনেকেই।



