তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি
তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত মাইগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়া বাড়ি এলাকাতে বস্তা বন্দী এক মহিলার পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ সংবাদ পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গতকাল স্থানীয় এলাকাবাসীরা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ছুটে যায় এবং পরবর্তী সময়ে সমস্ত প্রকারের ফরমালিটি পূরণ করে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আবিষ্কার হয় যে একটা বন্ধ ঘরের মধ্যে প্লাস্টিকের বস্তায় বাধা অবস্থায় একটা মৃতদেহ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে সনাক্ত করা হয় সংশ্লিষ্ট মৃতদেহটি শর্মিষ্ঠা মোদক নামে ৩৬ বছরের এক মহিলার। এলাকা সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছর দুয়েক ধরে এই মহিলা সংশ্লিষ্ট এলাকাতে বাড়ি তৈরি করে থাকছেন, তবে আরো জানা গেছে এই এলাকার কারো সাথে মহিলার কোন প্রকারের যোগাযোগ ছিল না, এর ফলে স্থানীয়রা কেউই সংশ্লিষ্ট মহিলার গতিবিধি সম্পর্কে তেমন কোন কিছু জানাতে পারেনি।
মৃত শর্মিষ্ঠার বাবা রতন মোদক দাবি করেছেন উনার মেয়ের একসময় সে দশদা কাঞ্চনপুর এলাকার এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর উনার মেয়ে উনারই এক নিকট আত্মীয় এর সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে উনি উনার মেয়ের আর কোন খোঁজ রাখেননি। স্বাভাবিকভাবেই এই মৃতদেহ উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
মৃতদেহের অবস্থান বা ঘটনাস্থল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে অনুমান করা যাচ্ছে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে। সবচেয়ে তাৎপর্যের বিষয় হচ্ছে যেই ঘরে বস্তাবন্দী মৃতদেহ পচা গলা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে সেই ঘরের মধ্যে এবং আশেপাশে বেশ কিছু মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে। এখন দেখার বিষয় ময়নাতদন্ত বা পুলিশের তদন্ত পরবর্তী সময়ে কি বেরিয়ে আসে। সব মহল থেকে দাবি উঠছে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার পেছনে যে বা যারাই জড়িত, সামনে আনা হোক। স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্মী পূজার প্রাক মুহূর্তে এক গৃহবধুর এইভাবে বস্তাবন্দী পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার ব্যাপক উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে।