বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৬ই আগষ্ট……ভারত সরকার অনুমোদিত সংস্থা কর্পোরেট ট্রানজেকশন এডভাইজারি প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে খোয়াই সুভাষ পার্ক মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় সমস্ত ধরনের ব্যবসায়ীদের নিয়ে খোয়াই টিকে ডিকে রোড স্থিত স্বপন পুরি অতিথি নিবাসের কনফারেন্স হলে ফুড সেফটি বিষয়ক এক দিনের এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মশালয় উপস্থিত ছিলেন খোয়াই সুভাষ পার্ক মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মিহির পাল, সম্পাদক উৎপল দেব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ওই সংস্থার উত্তর পূর্বাঞ্চলের ম্যানেজার বাপি শব্দ কর এবং ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষক অরিজিৎ ভট্টাচার্য। খোয়াই সুভাষ পার্ক মার্চেন্ট এসিসিয়েশনের অন্তর্গত সমস্ত ধরনের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্দেশ্য ছিল যেসব হোটেল ও রেস্তোরা থেকে সমস্ত ধরনের খাদ্য বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের গুণমান সম্পন্ন পরিচ্ছন্ন খাদ্য সরবরাহ করা বাধ্যতামূলক। যাতে করে রেস্তোরায় বা হোটেলের তৈরি খাদ্যের গুণমান নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কোন ধরনের সংশয় বা প্রশ্ন চিহ্ন না থাকে। কারণ খাদ্য নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী খাদ্যের গুণগত মান সুনিশ্চিত করা আবশ্যক। সেই জন্য খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে সমস্ত ধরনের খাদ্য বিক্রেতা ও সমস্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মেগা প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয় ভারত সরকার অনুমোদিত সংস্থা কর্পোরেট ট্রানজেকশন এডভাইজারি প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্যোগে। বুধবার দুপুরে স্বপন পুরী অতিথি নিবাসের কনফারেন্স হলে সুভাষ পার্কের সমস্ত ব্যবসায়ীদের এই বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেন সংস্থার ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার বিশিষ্ট প্রশিক্ষক অরিজিৎ ভট্টাচার্য। অন্যদিকে এই বিষয়ে সুভাষ পার্ক মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মিহির পাল বলেন আমরা যারা ব্যবসায়ী আছি প্রত্যেকেই নিজেদের দোকানে বা বিভিন্ন খাদ্য তৈরীর করতে গিয়ে এমন কিছু জিনিস আছে যা একটির সাথে আরেকটি রাখি যা ঠিক নয়। তাতে করে ওই খাদ্যের গুনাগুন এবং তার শুদ্ধতা বজায় থাকে না। তার জন্য প্রত্যেকটি জিনিস এবং এমন কিছু মাল পত্র রয়েছে যেগুলিকে একটির সাথে আরেকটি কে রাখা ঠিক নয়। যেমন উদাহরণ দিয়ে বলেন কারো দোকানে যদি কোন বেবি ফুড থাকে সেই বেবিফুডের সাথে হারপিক রাখা যাবেনা। আলু পিয়াজ একসাথে রাখা যাবে না ভোজ্য তেলের সাথে লবণ এবং সার্ফ রাখ রাখা যাবে না এই ধরনের অনেকগুলি উদাহরণ দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রত্যেকটি জিনিসের নির্দিষ্ট স্থান থাকা জরুরী প্রত্যেকের দোকানে। তাতে করে ওই জিনিসের গুণমান যেমন বজায় থাকবে পাশাপাশি ওই জিনিসগুলি অসময়ে নষ্ট হবে না। এসব বিষয়ে সাধারণত আমরা ব্যবসায়ীরা জানিনা। এর জন্যই এই সংস্থার পক্ষ থেকে কিভাবে প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার দোকানের বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং খাদ্য তৈরি করে সে খাদ্যগুলি কিভাবে নিজের দোকানে সুন্দর ভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায় যাতে ওই জিনিস গুলি নষ্ট না হয়।পাশাপাশি গ্রাহকরা এই খাদ্যবস্তু বা জিনিসের উপর কোন ধরনের সংশয় প্রকাশ না করে। তার জন্য সবাই এই ধরনের সেমিনারে উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এবং প্রশিক্ষণ শেষে সমস্ত ব্যবসায়ীদের এক দিনের প্রশিক্ষণ বিষয়ক শংসাপত্র প্রদান করা হবে বলে জানান সুভাষ পার্ক মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের এর সভাপতি মিহীর পাল।