বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৮শে জুলাই….সোমবার দুপুরে খোয়াই নতুন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হল খোয়াই জেলা সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে মহিলা, শিশু, তৃতীয় লিঙ্গ এবং সিনিয়র সিটিজেনদের নিয়ে এক সচেতনতা অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা শাসক রজত পন্থ, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, দপ্তরের আধিকারিক তপন কুমার দাস, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি অপর্ণা সিংহ রায়, সমাজসেবী সমির কুমার দাস সহ অন্যান্যরা। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার এত গুলি ভালো প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা তিনি আগে দেখতে পান নি।এই প্রকল্পগুলি আগামী দিন রাজ্যের মা বোনদের সার্থে সহায়ক হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি এই ধরনের প্রকল্প গুলির সুবিধা যাতে সবাই গ্রহণ করতে পারে সেই দিকে নজর রাখতে হবে দফতরকে। এর পর তিনি ধরলেন খোয়াইয়ে সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যান দপ্তরের জেলা ভিত্তিক কর্মশালায় গড়হাজির ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ও পুর পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। দেখা গেছে একইসাথে গড়হাজির ভিলেজ কমিটির মনোনীত জনপ্রতিনিধিরাও। তাতে মাঝে পর্দা টাঙিয়ে টাউন হলকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফাঁকা হলেই কর্মসূচী সম্পন্ন করতে দেখা গেল আয়োজক দপ্তরকে। যদিও যথাসময়ে উদ্বোধন করতে এলেন বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।কিন্তু টাউন হলে উপস্থিতির হার তখন পঞ্চাশ জন ও নেই। নির্ধারিত সময়ের পর আরো দুই ঘন্টা মন্ত্রীকে বসিয়ে রেখেও লোকজনের সমাগম ঘটানো গেল না।শেষ পর্য্যন্ত একের পর এক ফোন করে দপ্তরের জেলা অফিস ও সি ডি পি ও অফিসের কেরাণী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আর হাতে গোনা প্রধান , উপপ্রধান মিলিয়ে দেড়শোর বেশী লোকজন আনা গেলো না।আর এই কর্মশালায় জন প্রতিনিধিদের এই ধরনের হতাশাজনক উপস্থিতি দেখে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা যথারীতি মারাত্মক ক্ষেপে যান।এর পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি ক্ষোভ ঝাড়েন দপ্তরের ওপর।কর্মশালায় জন প্রতিনিধিদের এই ধরনের নৈরাশ্যজনক উপস্থিতি কেন প্রশ্ন তুললেন সবার প্রতি? কেউ বলছেন প্রচারে ঘাটতি জন প্রতিনিধিরা সবাই নাকি খবর পাননি! আবার কেউ কেউ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো করে বলছেন যে, জন প্রতিনিধিরা নাকি সবাই সরকারী অনুষ্ঠানে ব্যস্ত।যদিও এই মর্মে প্রশ্ন উঠেছে যে, টাউন হলে একটি সরকারী দপ্তরের এই দিনের কর্মসূচীটি কি তাহলে বেসরকারী ছিল ! আবার অনেকে এই দিনের কর্মশালায় জন প্রতিনিধিদের গড়হাজিরার বিষয়টির পেছনে অন্য কোন ধরনের রহস্যের সম্ভাবনাকে ও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।সোমবার খোয়াইয়ের নতুন টাউন হলে জেলা সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যান দপ্তরের উদ্যোগে ছিল জেলা ভিত্তিক কর্মশালা।দপ্তরের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প ও তৎসংশ্লিষ্ট আইনকানুন ও নীতি নির্দেশিকা সম্পর্কে জন প্রতিনিধিদের ওয়াকিবহাল করানোর জন্য এই দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়।সারা জেলার মোট ছয়টি ব্লকের পঞ্চায়েত ও এ ডি সি ভিলেজ মিলিয়ে একশো এরও বেশী নির্বাচিত জন প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা সহ দুটি পুর পরিষদ রয়েছে।সব মিলিয়ে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক লোকের সমাগম ঘটানোর কথা ছিল।সেই হিসেবে মাঝে পর্দা টাঙিয়ে দুই ভাগ করা হয় এক হাজার আসন বিশিষ্ট নতুন টাউন হলকে যা প্রথম দেখগেল এক সরকারি অনুষ্ঠানে। এর পরেও হলো না লোক সমাগম।বেলা বারোটায় ছিল কর্মশালা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়।উদ্বোধক ছিলেন বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।তিনি যথাসময়ে এসে দেখেন হলে পঞ্চাশ জনও নেই। জেলা পরিষদের সভাধিপতি , দপ্তরের অধিকর্তা ও জেলা শাসক সহ অন্যান্যরা লোকরা আসছে বলে মন্ত্রীকে দুই ঘন্টা বসিয়ে রাখেন।এর পরেও লোকজনের দেখা নেই।শেষে ফোন করে জেলা সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যান দপ্তরের জেলা অফিস ও সি ডি পি ও অফিসগুলোর কেরাণী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ডেকে এনে সর্বসাকূল্যে দেড়শো লোক দিয়ে বেলা দুই টায় শুরু হয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। উক্ত কর্মশালায় জন প্রতিনিধিদের হাজিরার বহর দেখে উদ্বোধক বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে এবং দপ্তরকে একহাত নিলেন।কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্না সিংহ রায় জন প্রতিনিধিদের গড়হাজিরার বিষয়টি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো করে বলেন যে জন প্রতিনিধিরা নাকি সবাই সরকারী কাজে ব্যস্ত। তাই ওরা আসতে পারেননি এই কর্মশালায়।সভাধিপতির এহেন কথায় প্রশ্ন উঠেছে যে, তাহলে কি টাউন হলে সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যান দপ্তরের জেলা ভিত্তিক কর্মশালাটি কি বেসরকারি অনুষ্ঠান ছিল! আবার অনেকে এই দিনের কর্মশালা জন প্রতিনিধিদের গড় হাজিরার বিষয়টির পেছনে অন্য কোন ধরনের রহস্যের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন।তাদের বক্তব্য হলো যে, খোয়াইয়ে এখন সব দপ্তরের সরকারী কর্মসূচীই হয় শাসকদলের মণ্ডল কমিটির তত্বাবধানে।তাই এই দিনের কর্মসূচীতেও শাসকদলের কেউ কেউ ইচ্ছে করেই কম লোকের উপস্থিত করিয়েছেন।সবাইকে খবরই দেওয়া হয়নি।কারণ এর পেছনে রয়েছে কর্মসূচীর জন্য বরাদ্দ করা অর্থরাশিতে ভাগ বসানো তেমনটাই মনে করছেন বুদ্ধিজীবীরা।