Saturday, July 26, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঅবসরপ্রাপ্ত এক শারীরিক শিক্ষকের নেশাগ্রস্ত ছেলে আকাশ দাস বাবার নাম ভাঙিয়ে দিন...

অবসরপ্রাপ্ত এক শারীরিক শিক্ষকের নেশাগ্রস্ত ছেলে আকাশ দাস বাবার নাম ভাঙিয়ে দিন দুপুরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাণ্ডব চালায় ভারত কল্যাণ ক্লাব এলাকার।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২১শে জুলাই……খোয়াই মহকুমাকে জঞ্জাল মুক্ত করতে অর্থাৎ নেশা মুক্ত করতে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে গোটা মহকুমা জুড়ে। এর ফল হিসাবে প্রতিদিন পুলিশ অবৈধ নেশা সামগ্রী সহ নেশা কারবারিদের আটক করছেন। পুলিশের এই তৎপরতা জন্য খোয়াই মহকুমা এলাকার জনগণ পুলিশ প্রশাসনকে কুর্নিশ জানাতে কৃপণতা বোধ করছেন না। যার ফল স্বরূপ প্রতিদিন পুলিশের জলে অবৈধ নেশা কারবারি ও নেশা সামগ্রী আটক করে চলেছেন। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত এক শারীরিক শিক্ষকের কুশান্ড ছেলে আকাশ দাস নামে ১৮ বছরের এক যুবক বাবার নাম ভাঙিয়ে দিন দুপুরে মাস্তানি করে বেড়াচ্ছে। ঘটনা সোমবার দুপুরে ,ঐ মদমত্ত যুবকের তাণ্ডব প্রত্যক্ষ করলো খোয়াই দুর্গানগর এলাকার জনগণ। ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান খোয়াই পুরান বাজারের দিক থেকে অল্প বয়সের আকাশ দাস নামে একটি ছেলে বাইক নিয়ে সজোড়ে আসছিল সেই সময় নবনির্মিত বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি গাভী কে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে এসে ভারত কল্যাণ ক্লাব সংলগ্ন এলাকাতে বাইক নিয়ে উল্টে পড়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার জনগণ তাকে জিজ্ঞেস করে কেন এত দ্রুতগতিতে বাইক চালাচ্ছিল। এই ঘটনার পরবর্তীতে ওই মদমত্ত যুবক এর বক্তব্য রাস্তায় গরু থাকবে কেন। এবং এই কথা জিজ্ঞেস করার পরিপেক্ষিতে ওই বয়স্ক প্রাক্তন শিক্ষককে তেড়ে আসে মদমত্ত আকাশ দাস। পরবর্তীতে এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব তথা শাসকদলের এলাকার বুথ সভাপতি অপূর্ব নাথ শর্মা মদমত্ত ঐ যুবককে শান্ত করবার চেষ্টা করছিলেন। উনার কথাও ঐ নেশাগ্রস্ত যুবক শুনতে রাজি না বুথ সভাপতিকেও হুমকি ধমকি দিতে থাকে স্বজোরে চিৎকার করে বলে তার বাবা আশিষ দাস! এই কথা শুনে পরবর্তীতে এলাকার জনগণ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাছাড়া বিভিন্ন অপকর্ম এবং কু কর্মের সাথেও জড়িত আকাশ দাস বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। পরবর্তীতে এলাকার জনগণ খোয়াই থানায় গোটা বিষয়টি জানান। এবং খবর পেয়ে পুলিশ আসলে তাদের হাতে তুলে দেন আকাশ দাসকে।গোটা ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ অনেকটাই স্তম্ভিত। এত অল্প বয়সী ছেলে দিন দুপুরে মদমত্ত অবস্থায় শহরের উপর দিয়ে দ্রুতগতিতে বাইক চালানো মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ। প্রতিদিন দুর্ঘটনা হচ্ছে পুলিশ শত চেষ্টা করেও এই সমস্ত দুর্ঘটনা গুলি রোধ করতে পারছেন না উপরন্তু নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দ্রুতগতিতে বাইক চালানো যেকোনো সময় বড়ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ দাবি তুলছেন এই সমস্ত নেশাগ্রস্ত যুবকদের বাগে আনতে পুলিশের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এখন দেখার বিষয় পুলিশ ওই নেশাগ্রস্ত যুবকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 + 12 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য