বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২রা জুলাই…….গত ৯ই জুন থেকে খোয়াই প্রহরমুড়া চা বাগান বিদ্যালয়ের মাঠে ভগবান বিরসা মুন্ডা স্মৃতির উদ্দেশ্যে নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল।এই টুর্নামেন্টে সর্ব মোট ২৪ টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। বুধবার দিনটি ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা , খেলাটি হয় চা বাগান বিদ্যালয়ের মাঠে। বুধবার এই চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলাতে যে দুটি দল অংশগ্রহণ করে এই দুইটি দলহল বড়খের এবং নামা হারা ক্লাব। এই চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলাতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন
বিজেপি খোয়াই মন্ডল সভাপতি তথা জিলা পরিষদের সদস্য অনুকূল দাস।জেলা সম্পাদক সমির কুমার দাস। খোয়াই মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন দাস। সুব্রত মজুমদার, স্থানীয় অল আদিবাসী এসোসিয়েশন ত্রিপুরার সাধারণ সম্পাদক রমেন সাঁওতাল, মুন্ডা সমাজের প্রধান সমাজপতি সুরেশ মুন্ডা সহ অন্যান্য অতিথিরা।এই খেলা শুরু হওয়ার আগে উপস্থিত অতিথিরা দুই দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে কর মদন এর মাধ্যমে প্লেয়ারদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ভগবান বিশ্বা মুন্ডার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন অতিথিরা। পরবর্তীতে বিকেলে ৪ট ১৫ মিনিটে খেলা শুরু হয়। নির্ধারিত খেলার সময় কোন দল গোল করতে পারেনি, পরবর্তীতে পাঁচ মিনিট পাঁচ মিনিট সর্বমোট ১০ মিনিট সময় প্রদান করা হয় পুনরায় খেলার জন্য। তখনো কোন দল গোল করতে পারেনি এর পরবর্তীতে প্লান্টিক শর্ট এর মাধ্যমে নামা হারা দল এই টুর্নামেন্টে জয়যুক্ত হন আর্থাৎ সাডেন ড্যাথ এর মাধ্যমে ।এই টুর্নামেন্টের উদ্যোক্তা হল অল আদিবাসী এশিয়েশন অফ ত্রিপুরা। মূলত ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল জয়যুক্ত হওয়ার পর খোয়াই চাবাগান এলাকার পশ্চিমা আদিবাসী অংশের জনগণ বিশেষ করে এই এলাকার রমেন সাঁওতালের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগবান বিশ্বা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী উদযাপন ও নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল। প্রতিবছর ঘটা করে অল আদিবাসী এশিয়েশন অফ ত্রিপুরার ব্যবস্থাপনাতে এই অনুষ্ঠান গুলি করা হচ্ছে। সব থেকে লক্ষণীয় বিষয় বুধবার বিকেলে খেলা প্রাঙ্গনে প্রচুর সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিল। মাঠের কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। ফুটবল খেলা দেখতে অগণিত পশ্চিমা আদিবাসী অংশের জনগণ বিশেষ করে মহিলারা সম্পূর্ণ মাঠ পরিপূর্ণ করে দিয়েছিল ছিল।এই খেলাতে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে সকলের মধ্যে। খুব সুশৃংখল ভাবে বিগত খেলা গুলি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দিন খেলার শুরুতেই বিজেপি খোয়াই মন্ডলের সভাপতি এবং প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সকলের কাছে আহবান রেখেছিল খুব সুন্দর ভাবে এবং সুশৃংখল ভাবে যেন খেলা পরিচালনা করা হয়। তার পাশাপাশি এই এলাকার স্থানীয় নেতৃত্ব রমেন সাঁওতালের প্রশংসা করেন বর্তমান মন্ডল সভাপতি এবং প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি। এই খেলাতে প্রাইজ মানি ছিল চেম্পিয়ান দলের জন্য ৮ হাজার টাকা এবং রানার্স দলের জন্য ৬হাজার টাকা। খেলার শেষে এই টুর্নামেন্টের বিজয়ী দল নমাহারা ক্লাবের প্লেয়ারদের হাতে ট্রফি তুলে দেন সুব্রত মজুমদার।