বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৪শে জুন……বর্তমান সময়ে খোয়াই মহাকুমা শহরটি নেশার আতুর ঘর তৈরি হয়ে রয়েছে। সমস্ত মহাকুমার অলিতে ও গলিতে নেশার বারবারন্তে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে খোয়াই মহাকুমা বাসি। অন্যদিকে নেশার যোগান দিতে নেশা কারবারি ও নেশাখোরদের সাথে তাল মিলিয়ে খোয়াই শহরের বিভিন্ন এলাকাতে চলছে দিন দুপুরে চুরি। যদিও খোয়াই মহাকুমা পুলিশ নেশা কারবারীদের লাগাম টানতে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাচ্ছে। যদিও তাতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যের মুখ দেখতে পেয়েছে খোয়াই থানার পুলিশ। অন্যদিকে এই নেশার বাড়ন্ত কে প্রতিহত করতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ধীরে ধীরে সজাগ হতে শুরু করেছে। তেমনি এক ঘটনা ঘটলো মঙ্গলবার সকালে খোয়াই সোনাতলা ভবতোষ পাড়াতে। সেখানে পহরমুড়া এলাকার এক মহিলা ঝুমা দাস নেশা পাচার করতে গিয়ে এবং বিগত দিনে নেশা সামগ্রী বিক্রির টাকা আনতে গেলে সোনাতলা ভবতোশ পাড়া এলাকার প্রমিলা বাহিনীর হাতে পাকড়াও হয়। শেষে এলাকার মহিলারা নেশা কারবারি ঝুমা দাস কে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অন্যদিকে এলাকাবাসীরা এও জানায় নেশা কারবারি ঝুমা দাসের সাথে তার ভাইও ছিল। গ্রামবাসীরা বোনকে আটক করার ফলে ভাই ও সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু নেশা কারবারি ঝুমা দাসের সাথে ওর সাড়ে পাঁচ বছরের সন্তান ও মা রয়েছে। উভয়কেই আটক করা হয়।নেশা কারবারি ঝুমা দাস কে ধরতে এলাকার কয়েকশত পুরুষ মহিলারা মিলে ঘেরাও করে ঝুমা দাসকে আটক করে। এবং শেষে ঝুমা দাস সেখানে আসার সমস্ত বৃত্তান্ত সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে খুলে বলেন। নেশা কারবারি ঝুমা দাস এও বলেন খোয়াই পহরমুরা বাল্লাবের এলাকার বাসিন্দা অর্থাৎ নেশা কারবারি ফিদুল দাস সম্পর্কে ঝুমা দাসের পিশু হয় বলে জানান। সেই ফিদুল দাসই ঝুমা দাস কে নেশা সামগ্রী বিক্রির জন্য এবং আগে বিক্রির টাকা তুলে আনার জন্য পাঠিয়েছিল বলে জানান নেশা কারবারি ঝুমা দাস। ঝুমা দাস কে তল্লাশি
চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি ব্রাউন সুগারের শিশি উদ্ধার করে এলাকাবাসীরা । এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও। নেশা কারবারি ঝুমা দাস গ্রামের প্রমীলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই টাকার প্রলোভন দেখিয়েছে। চেক দিয়ে যাবে যাতে করে প্রমীলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু ঝুমা দাসের কথায় কেউ পাত্তা দেয়নি। কারণ গ্রামবাসীরা বুঝে গেছে পয়সার লোভ দেখিয়ে সেখান থেকে কেটে পড়ার উদ্দেশ্য ছিল। তাই গ্রামবাসীরা ঝুমা দাসের সেই ফাঁদে পা দেয়নি। তবে এখানে একটা জিনিস হল খোয়াই মহাকুমা জুরে যেভাবে নেশার বিস্তার ঘটেছে তাতে করে আজ যুব সমাজের ধ্বংসের পথে। যদিও তার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল কর্মসংস্থানের অভাব, যেটা অনেক দিক দিয়েই শুরু বলা চলে! তবে শুধু পুলিশ দিয়ে নেশাখোর বা নেশা কারবারীদের কে ঠেকানো সম্ভব হবে না। কারণ তারা প্রতিটি এলাকায়, মহল্লায়, অলিতে, গলিতে এমন ভাবে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে রেখেছেন যে ঐ সকল এজেন্টাই ওইসব এলাকাতে কোথাও চুপিসারে আবার কোথাও প্রকাশ্যে এই ধরনের নেশার সামগ্রী বিক্রি করছে। আর এই ধরনের নেশা সামগ্রী যারা বিক্রি করছে তাদেরকে ঠেকাতে গেলে প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লা গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত সমস্ত এলাকার জনগণকেই একত্রিত হয়ে ওই নেশা কারবারিদের কে ধরতে হবে অন্যথা এলাকাছাড়া করতে হবে। যেদিন প্রত্যেকটি এলাকার জনগণ , ক্লাব ,সংস্থা এনজিও গুলি একত্রিত হয়ে নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে সেদিনই সমাজ থেকে এই ধরনের নোংরা ব্যবসায়ীদের বিতাড়িত করা সম্ভব হবে। তাই সমাজ থেকে নেশার বাণিজ্যকে চিরতরে মুছে ফেলে একটি সুন্দর সমাজ তৈরি করেতে গেলে জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে, এটাই শেষ এবং সঠিক রাস্তা বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবীরা।