খোয়াই জেলার ৪৭ টি স্কুলের ৫২০ জন ছাত্রীদের নিয়ে খোয়াই নতুন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হল কিশোরী উৎকর্ষ মঞ্চ অনুষ্ঠান।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৩শে জুন…..খোয়াই জেলা শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে খোয়াই এর নতুন টাউন হলে উদ্বোধন হল দুদিন ব্যাপী কিশোরী উৎকর্ষ মঞ্চ অনুষ্ঠান। সোমবার দুপুর ১২ টায় উৎভোধন হয় এই অনুষ্ঠানের।এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক শ্রীমতি কল্যাণী সাহা রায়, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই পর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য অনুকূল চন্দ্র দাস, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার, খোয়াই জেলা শিক্ষা আধিকারিক দীনেশ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। এই দিন ১৯ টি ইভন্টে ৪৭ টি বিদ্যালয়ের ৫২০ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। তেলিয়ামুড়া থেকে ১৫ টি স্কুল, কল্যানপুর থেকে সাতটি স্কুল, এবং খোয়াই থেকে ২৫ টি স্কুল অংশগ্রহণ করে। মূলত নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীরা এতে অংশগ্রহণ করে। কিশোরী উৎকর্ষ মঞ্চ শুরু হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। এ বছরই সবচাইতে বেশি সংখ্যায় ছাত্রীরা এত অংশগ্রহণ করেছে।এই অনুষ্ঠানে থাকছে ধামাইল, কুইজ প্রতিযোগিতা, নৃত্য,ভাষন, স্লোগান,টুডি এবং অংকন প্রতিযোগিতা,বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা এবং মেলা সহ ১৯ টি ইভেন্টে চলবে এই প্রতিযোগিতা গুলি। অনুষ্ঠান শুরুতেই বালিকা বিবাহ বন্ধ করার লক্ষ্যে একটি নাটক অনুষ্ঠিত করে নবম এবং দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা। মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা অনুষ্ঠান মঞ্চে আলোচনা করতে গিয়ে, তিনি অনুষ্ঠান শুরুতে যে নাটক প্রদর্শন করেন ছাত্রীরা, নাটকটি নিয়ে তিনি তিনি প্রশংসা করেন ছাত্রীদের। তিনি বলেন আজকের যারা ছাত্রী তাদেরকে প্রতিটি অভিভাবক পড়াশুনার সুযোগ করে দেয় এই আহ্বান রাখেন অভিভাবকদের প্রতি। পাশাপাশি সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতেক আলোচনা করতে গিয়ে বলেন একটা সময় ছিল, যখন অভিভাবকরা খুব অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিত, সেই ক্ষেত্রে সেই অল্প বয়সের মেয়েরা সংসারের ঘানি টানবার মত পরিপূর্ণ বয়স তাদের হত না। যদিও অভিভাবকরা এখন অনেকটাই সচেতন, পরিপূর্ণ বয়স না হলে সচেতন অভিভাবকরা বিয়ে দেন না। তারপরও কিছু কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে আমাদের রাজ্যে। এর তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। খোয়াই মহকুমা এলাকাতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিল সেই কোমলমতি ছাত্রীটি এই বিষয়টির নিদর্শন নিয়েই আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটি নাটক পরিচালনা করা হয়। শ্রীমতি কল্যাণী সাহা রায় উনার বক্তব্যে সকল অভিভাবকের কাছে আহ্বান রাখেন এইরকম কর্মকান্ড থেকে সকলেযেন পিছিয়ে আসেন ।মেয়েদেরকে সঠিক শিক্ষা দান করুন এবং পরিণত বয়সে তাকে বিবাহ প্রদান করুন এই আহবান তিনি রাখেন।