বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২১শে জুন….. সংস্কৃতির শহর নামে পরিচিত ছিল খোয়াই সহর।সেই শহরকে কলুষিত করা হচ্ছে অবৈধ ড্রাগস, দিন দুপুরে মক্ষি রানীর আনাগোনাতে। যদিও পুলিশের তৎপরতা অনেকটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও অসামাজিক কর্মকান্ডের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। এমনই কয়েকটি ঘটনা ঘটল শনিবার খোয়াই শহরে। ঘটনার বিবরন দিতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছেন শনিবার সারাদিনের পুলিশের তৎপরতা নিয়ে। পুলিশ জানিয়েছেন খোয়াই শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু মাত্র নেশার বাড়বাড়ন্ত নয়,তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মক্ষিরানিদের দেহ ব্যবসা। তেমনি ভাবে দিনে দুপুরে খোয়াই শহরের বুকে দেহ ব্যবসাও জাকিয়ে বসেছে খোয়াই শ্রীনাথ বিদ্যানিকেতনের এলাকায়। শেষে এক মক্ষী রানির ডেরায় হানা দিল পুলিশ। উল্লেখ্য গোপন খবরের ভিত্তিতে খোয়াই শ্রীনাথ বিদ্যানিকেতন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা শংকর নাথ শর্মার বাড়িতে হানা দেয় খোয়াই সুভাষ পার্ক পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রঞ্জিত সরকার সহ সাদা পোশাকের পুলিশ বাহিনী নিয়ে। ভাড়াটিয়ার ঘড়ে হানা দিয়ে পুলিশ খোয়াই এর চম্পাহাউর থানার অন্তর্গত পরশুরাম বাড়ি এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা দেববর্মা ২৪ নামে একটি মেয়েটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। তার কাছ থেকে বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য,গাঁজার কল্কি, বিভিন্ন নেশার টেবলেট, বারমিজ বিড়ি, কনডম সহ আরো অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ।যদিও বা মক্ষীরানীর আসর থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় দুই যুবক। এখানে উল্লেখ্য একের পর এক নেশা জাতীয় দ্রব্যের রমরমা সহ এবার দিনে দুপুরে খোয়াই শহরের বুকে দাপিয়ে বসেছে মক্ষিরানীদের আসর। আবার এমনও দেখা যাচ্ছে একাংশ বাড়ির মালিকের জ্ঞাত সারেই কিছু টাকার বিনিময়ে আসরে বসিয়ে যাচ্ছে মক্ষি রানীরা। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশরা মক্ষিরানিদের মহিলা থানার হাতে তুলে দিলে তাদের একেবারে মায়ের আদরে থানা থেকে রেহাই দিয়ে দেয়া হয়। কোন ধরনের জোর কদমে তদন্ত করতে দেখা যায় না মহিলা থানার ম্যাডামদের। এরকম অভিযোগ কান পাতলে হামেশাই শোনা যায়। এখন দেখার এই ক্ষেত্রেও কি একই ভূমিকা নেয় মহিলা থানার পুলিশরা একটু বর্দির সম্মানটা বজায় রেখে ঘটনার পেছনে লুকিয়ে থাকা মূল আসামীদের রহস্য বের করেতে পারেন কিনা তারা এখন এটাই দেখার বিষয়। এইদিন শনিবার সকাল থেকে খোয়াই সুভাষ পার্ক পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রনজিৎ সরকার বেশ কয়েকটি নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়েছেন। এবং নেশা করতে গিয়ে এক ২৪ বছরের যুবতিকে আটক করে। নেশার বারবারন্তকে রুখতে পুলিশের পাশাপাশি জনগনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে খোয়াই জিপ স্ট্যান্ডের শৌচাগারে নেশা করতে গিয়ে সন্দেহ মূলক ভাবে এক সরকারি চাকরিজীবী এক ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তার পকেটে অবৈধ ব্রাউন সুগার এবং অন্যান্য নেশা সামগ্রী পাওয়া যায়, ওই সরকারি কর্মচারীকে বি এম এস এর শ্রমিকরা আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।তাছাড়া খোয়াই বনকর এলাকাতে আরেক অবৈধ ড্রাগস কারবারীর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ, তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পরিমাণ নেশা সামগ্রীর উপকরণ পেয়েছেন তাকে আটক করা হয়।
নেশা করার সময় অটো চালক দের হাত আটক এক ব্যক্তি। অন্যদিকে নেশা তল্লাশি অভিযানে এক বারি থেকে মক্ষি রানিকে আটক করে পুলিশ।
