খোয়াই মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে খোয়াই বেহালা বাড়িতে আয়োজিত প্রশাসনিক শিবিরে আসা জনগন কিছুই সহায়তা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ ।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২০শে জুন……..ধরতি আবা জন ভাগিদারী অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ১৫ই জুন থেকে খোয়াই মহকুমার বিভিন্ন প্রতন্ত অন্চলে চলছে প্রশাসনিক সিবি।এরই অঙ্গ হিসাবে ২০ জুন শুক্রবার খোয়াই মহকুমার বেহালা বাড়ি বাজারে এক প্রশাসনিক ও জনসচেতনতা মূলক শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিবিরে খোয়াই মহকুমার অন্তর্গত তুলা শিখর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনজাতি অংশের জনগণের মধ্যে পিআরটিসি, এসটি সার্টিফিকেট, ইনকাম, আধার কার্ড ইত্যাদি শংসাপত্রের জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে গবাদি পশু ও প্রাণীর টিকাকরণ করা হয়। বন দপ্তর থেকে গাছের চারা বিলি করা হয়। সরকারি এই সব পরিষেবা গ্রহণের জন্য খোয়াই মহকুমা প্রশাসন থেকে জনগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হলেও জন্ম-মৃত্যু পঞ্জিকরণ করার জন্য আগাম ঘোষণা করা হলেও শিবিরে আসা জনগন সেই পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। খোয়াই জেলা ,মহকুমা ও তুলাশিকর ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক সহ তুলাশিখর নিবিড় শিশু কল্যাণ দপ্তরের সুপারভাইজার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জনজাতি অংশের মানুষকে আরও এগিয়ে আনার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই কর্মসূচি শুরু করেছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিবিরগুলি থেকে সরকারি পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য জনজাতিদের প্রতি আহ্বান জানান সুপারভাইজার শ্রী দীনেশ দেবনাথ , শ্রীমতি শর্মিষ্ঠা রায়। বক্তব্য রাখেন মনীন্দ্র দেববর্মা এবং রীমা জমাতিয়া। সংবাদ প্রতিনিধিদের কাছে শিবিরে আসা জনগনের অভিযোগ তুলা শিখর আর, ডি, ব্লকের বিভিন্ন এডিসি ভিলেজের পঞ্চায়েত অফিস থেকে দীর্ঘ দিন ধরে বার্থ এবং ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য জমা দেন এবং তাদের কাছে রিসিভ কপি থাকলেও সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না বলেন। কিছুদিন আগে এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আর ডি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সাথে সাক্ষাত করেন। শীঘ্রই পাবেন বলে আশ্বাস দিলেও এখন অব্দি কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।তাতে ক্ষোভ জমছে ঐ এলাকার জনমনে বলে জানা যায়।