বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১২ই জুন…..মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার হাত ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২ টায় উদ্বোধন হল খোয়াই বাইজাল বাড়ি থানা ও উপজাতি ছাত্রাবাস। এর পর বাইজাল বাড়ি স্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে অন্য আরো ৬ টি প্রকল্পের বৈদ্যুতিক রিমোট টিপে আরো ঐ ৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাইজাল বাড়ি স্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের প্রথমেই বাইজাল বাড়ি পুলিশ থানার পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর প্রথমেই বাইজাল বাড়ি পুলিশ থানা উদ্বোধন করেন এবং থানা টি পরিদর্শন করেন। এরপর বাইজাল বাড়ি একটি উপজাতির ছাত্রাবাসের উদ্বোধন করেন এবং ছাত্রাবাসের ছাত্র দের সাথে কথাবার্তা বলেন এবং সবাইকে নিয়ে ফটো স্টেশন করেন। এরপর চলে আসেন বাইজাল বাড়ি স্কুল মাঠের জনসভায়। উক্ত জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা , এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই রামচন্দ্র ঘাট এলাকার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া কৃষ্ণপুর বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা, খোয়াই জেলা শাসক রজত পন্থ, খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার রানাদীপ্ত দাস, ডি জি অনুরাগ , খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি অপর্ণা সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের মাঝে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এলাকার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা এবং বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা উভয়েই একটি কথাই বলেন বিগত ৩৫ বছরে এই এলাকাতে একটি থানা তৈরি করার দোয়ার জন্য তৎকালীন সরকারকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানানো হয়েছিল এরপরও হয়নি। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা কথা দিয়েছিলেন এখানে থানা তৈরি করবেন এবং তিনি কথা রেখেছেন। শুধু তাই না বক্তব্য রাখতে গেলে বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বলেন রাজ্যের মানুষ কথায় কথায় বলে কোথায় উন্নয়ন হয়েছে। সেই কথার উত্তরে রঞ্জিত দেববর্মা গর্জনের সহিত বলেন বর্তমান বিজেপি জোট সরকারের আমলে উন্নয়নের পরিকাঠামো দেখতে গেলে রামচন্দ্র ঘাট এলাকাতে এসে দেখতে হবে । একেই বলে উন্নয়ন এই এলাকাতে এত পরিমাণ উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিল রাজ্য সরকার তা প্রতিটি পদক্ষেপে বাস্তবায়ন হয়েছে বলে তিনি জানান। শুধু তাই না উন্নয়নের মানদন্ড রাখতে গিয়ে বারবারই দুই বিধায়ক বিশেষ করে রঞ্জিত দেববর্মা মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন যা ছিল চোখে পড়ার মতন। শুধু তাই নয় বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার বক্তব্যের সমর্থনে অনুষ্ঠানে আগত এলাকাবাসীরা করতালি দিয়ে উনার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন । প্রত্যেকটি পদক্ষেপে প্রত্যেকটি কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। এবং সমস্ত কাজগুলোর জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকার উপর ব্যয় করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি এও বলেন তাদের দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন এই এলাকাতে ঘুরতে এসে খুবই খুশি হয়েছেন উন্নয়নের জোয়ার দেখে। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন নতুন থানা গড়তে গিয়ে যদি কোন টাকা পয়সা লাগে তাহলে মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন বাইজাল বাড়ি থানা কে আরো ঠেলে সাজানোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিবেন বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনের হয়ে এলাকার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা রাজ্য উন্নয়নে ত্রিপুরা সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। এই এলাকাতে নতুন করে থানা উদ্বোধন হয়েছে। এই এলাকার জনগণ এর ফসল পাবে। এর জন্য আরো ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বে ভারতের অবস্থা কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন অর্থনৈতিক জিডিপির দিক দিয়ে ভারত জাপান কে পিছে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। তাছাড়া ডিজিটাল যুগে গত কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করেছে তাও ঘরে বসে। আগের মত ট্যাংক বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করতে যেতে হয় না ঘরে বসেই বোতাম টিপে যুদ্ধ করা যায়। যার প্রমাণ দিয়েছে কিছুদিন আগে পাকিস্তানের উপর ভারতের সেনাবাহিনীরা হামলা করে। তাতে বোঝা যায় ভারত প্রতিরক্ষার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। তাইতো পাকিস্তানকে বলে দিয়েছিল পারমাণবিক হামলার কথা অনেক হয়েছে। এসব হামলার কথা আজকাল পূরণ হয়ে গেছে। ভারতের দিকে যারা চোখ তুলে তাকাবে সেই সমস্ত উগ্রবাদীদের তেমনিভাবে সঠিক শিক্ষা দেওয়া হবে। এবং শেষে বিভিন্ন প্রকল্পগুলি যে উদ্বোধন করেন তার ফল আগামী কিছুদিনের মধ্যে জনগণ পেয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার প্রকল্প তৈরি করে জনগণের সুবিধার্থে। সেই প্রকল্প যখন জনস্বার্থে বাস্তবায়িত হয় তখন তার মান্যতা অনেক বেড়ে যায়। আশা করি আগামী দিনও তাই হবে সেই আশাই ব্যক্ত করেন তিনি।