বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৮ই জুন…….. আগরতলা থেকে কমলপুর পর্যন্ত নবনির্মিত ২০৮ নং জাতীয় সড়ক যতটুকু অর্থাৎ প্রায় ৮০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তারমধ্যে সুবলসিং পাহাড়ের এলাকা বাদ দিলে বাকি সমস্ত রাস্তা কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সমাপ্ত হওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই ২০৮ নং জাতীয় সড়ক যেন ধান চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। মেরামতের যথাযোগ্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। যে সমস্ত কোম্পানিগুলি ২০৮ নং জাতীয় সড়কের নির্মাণের জন্য বরাত পেয়েছিল। তারা এখন সময় কাটানোর ধান্দায় ব্যস্ত। অর্থাৎ জাতীয় সড়ক নির্মাণের পরবর্তীতে তিন বছর সময় থাকে। যদি কোন জায়গা ভেঙ্গে যায় তাহলে পুনরায় নির্মাণ করতে হয়। সরকারি নিয়ম অনুসারে তিন বছর পার হয়ে গেলে তাদের যেই টাকা নির্মাণ সংস্থা (দপ্তর) কেটে রাখে সেই টাকা পেয়ে যায়। এই দিকে ২০৮ নং জাতীয় সড়ক নির্মাণের পরবর্তীতে অধিকাংশ রাস্তা ভেঙ্গে একেবারে ধান চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। হেভি ওয়েট গাড়ি গুলি চলাচল করা একেবারে কষ্টসাধ্য। এবার নির্মাণ সংস্থাগুলি যে সমস্ত এলাকাতে খুবই খারাপ অবস্থা সেখানে লোক দেখানোর মতো কাজের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। এক দিন যেতে না যেতেই পুনরায় আগের অবস্থাতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার এই জাতীয় সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশের জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন উন্নয়নের স্বার্থে। এমনকি জাতীয় সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে নেটের(জাল) এর ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় সড়ক নির্মাণের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে আগরতলা মোহনপুরের দিকে সমস্ত রাস্তাতে নেট দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। অথচ খোয়াই মহকুমা এলাকাতে ২০৮ নং জাতীয় সড়ক হয়েছে সেখানে নেট দেওয়া হয়নি। সেই নেটের টাকা পয়সা হাফিজ করে দিয়েছে নির্মাণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা যা একে বারে সত্য তারই প্রমাণ বর্তমান সময়ে চোখেও পড়ছে। কাদা মাটির উপর নতুন মাটির ফেলে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে হেভি ওয়েট গাড়ি গুলি চলাচলের ফলে সমস্ত রাস্তা একেবারে ভেঙ্গে গেছে। সাধারণভাবেই চলাচল করা একেবারে কষ্টসাধ্য। বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে নবনির্মিত ২০৮ নং জাতীয় সড়কের বেহাল চিত্রের দশা উল্লেখ করা হচ্ছে বারবার। কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। সরকারি জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থা এই বিষয়ে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন। ২০৮ নং জাতীয় সড়ক নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতে এইরকম বেহাল অবস্থা। ভারতবর্ষের অন্যান্য জাতীয় সড়ক নির্মাণের পরবর্তীতে এরকম বেহাল অবস্থা হয় কিনা আমার আদো জানা নেই। জাতীয় সড়ক নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতে এরকম বেহাল অবস্থা তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থার পক্ষ থেকে কঠোর থেকে কঠোর তম ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এটাই চায় বুদ্ধিজীবী মহল। এখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারি জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থার পক্ষ থেকে কোন ধরনের পর্যবেক্ষণ কমিশন গঠন করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা সেটাই দেখার। বা জাতীয় সড়ক তৈরি করা নামে নির্মাণ সংস্থাগুলি যেভাবে লুটপাট চালাচ্ছে সেই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার আদৌ কি কোন ধরনের পদক্ষেপ নেবেন সেই চোরদের ধরতে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে জনগণ।