Friday, June 6, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই পুর পরিষদের উদ্যোগে বারবিল স্থিত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলে বৃক্ষরোপণ...

খোয়াই পুর পরিষদের উদ্যোগে বারবিল স্থিত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৫ই জুন……..‌‌ ৫ ই জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিনটি ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিবসটিকে কেন্দ্র করে খোয়াই পুর পরিষদ উদ্যোগে বারবিল স্থিত বর্জ্য প্রক্রিয়া করন কেন্দ্রে এক বৃক্ষ রোপণ অনুষ্ঠান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই মহকুমা শাসক চারু বর্মা, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, ভাইস চেয়ারম্যান নিবাস সাহা , স্বচ্ছ ভারত মিশন কমিটির সভাপতি তথা কাউন্সিলর শিঙ্কু পাল ও পীযূষ কান্তি চৌধুরী খোয়াই পুর পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গণ সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকাবাসীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত অতিথি সহ সাংবাদিকদের উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় খোয়াই পুর পরিষদের পক্ষ থেকে। শেষে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা বলেন এই বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর কোথাও না কোথাও গাছ লাগানো হয়। এর উদ্দেশ্য হল প্রকৃতিকে পরিবেশ বান্ধব তৈরি করা। যাতে করে প্রকৃতির আবহাওয়া সুন্দর ও নীরোগ থাকে। আমরা যখনই প্রকৃতিকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো তখনই প্রকৃতির ভারসাম্যতা রক্ষা করতে পারবে। এর জন্য পালা করে বৃক্ষ রোপন করা উচিত, পাশাপাশি পরিবেশকে ময়লা মুক্ত রাখতে হবে। আমরা বর্তমান প্রজন্ম যদি পরিবেশকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করে না যেতে পারি তাহলে আগামী প্রজন্মের জন্য এই পরিবেশ খুবই খারাপের দিকে চলে যাবে। তাই সবাই মিলে পরিবেশকে সুস্থ ও সবল রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কারণ এই প্রকৃতিতে থেকেই আমাদের জীবনযাপন করতে হবে। তাই প্রকৃতি যদি সুস্থ না থাকে তাহলে এই প্রকৃতিতে বসবাসকারী সমস্ত জীব কুল আগামী দিন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাই তিনি সবার কাছে আহ্বান রাখেন পরিবেশকে সুন্দর করতে এবং আবর্জনা মুক্ত করতে সবাই যেন একসাথে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দেয়। এই দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত অতিথিরা সহ সাংবাদিকরা বৃক্ষ রোপন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা উনার বাড়ি থেকে বিনামূল্যে ৭০ টি ভালো মানের কলা গাছের চারা ওই এলাকায় রোপনের জন্য দান করেন। তিনি আরো বলেন শুধুমাত্র বৃক্ষরোপণ করলেই চলবে না, বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি অর্থাৎ গাছ লাগানোর পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্ব সকলের নিতে হবে বলে তিনি জানান। তবেই সম্ভব হবে শ্যামলা, সুজলা পরিবেশ গঠনে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই দিন দুই জায়গাতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ এর বিষয়টি বিশেষ পরিলক্ষিত হয় নাই। যে গাছ গুলিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লাগানো হয়েছিল সেই কাজগুলো এক দু দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

3 × three =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য