বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৩১শ মে……বিগত ব্যাস কিছু মাস ধরে খোয়াই মহাকুমার বিদ্যুৎ পরিষেবা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর তাতে করে বিদ্যুৎ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সমস্ত খোয়াই মহাকুমার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। তাতে করে খোয়াই মহকুমার বিদ্যুৎ দপ্তরের কার্যালয়টি বর্তমান সময়ে ঘুঘুর বাসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে। খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিস ছিল জনমানবহীন পরিবেশ, সিনিয়র ম্যানেজার দিবাকর নাথ থেকে শুরু করে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিদ্যুৎ দপ্তরে। খোয়াই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা আসছে খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরের কার্যালয়ে। সিনিয়র ম্যানেজার দিবাকর নাথ কে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে তিন দিন যাবত খোয়াই মহাকুমার অন্তর্গত কাঁঠালতলী শ্রীনগর পাড়ায় বিদ্যুৎ নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এই ধরনের অবস্থা খোয়াই মহাকুমার সমস্ত এলাকা জুড়ে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। বারবার করে বিদ্যুৎ আসেছে এবং যাচ্ছে ।তারপর কয়েক ঘন্টা আবার নেই কিছুক্ষণের জন্য আসে আবার উধাও। সেই ঘটনাগুলি সাংবাদিকদের সামনে খোয়াই মহকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বিদ্যুৎ গ্রাহকরা তাদের বিদ্যুৎ যন্ত্রণার কথা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন। অন্যদিকে খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরে সিনিয়র ম্যানেজার দিবাকর নাথ বর্তমান সময়ে আমাবস্যার চাঁদ হয়ে রয়েছেন। প্রতিদিন বিকেল চারটা বাজলেই তিনি আগরতলা নিজ বাড়িতে চলে যান। তাতে করে খোয়াই মহাকুমার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা সঠিকভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাচ্ছে কিনা সেই বিষয় নিয়ে তিনি কোন মাথা ঘামান না। এমনকি কোন বিদ্যুৎ সমস্যা হলে উনাকে সমস্যা সমাধানের জন্য মাঠে নেমে কাজ করত তেমন একটা দেখা যায় না। যদি অফিসে থাকেন তাহলে সেখানে বসে অফিসের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে ব্যস্ত থাকেন। অন্যদিকে গ্রাহকদের বক্তব্য খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার যদি এই ধরনের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কাজ করেন তাহলে খোয়াই মহকুমাবাসীর বিদ্যুৎ যন্ত্রনা দিনকে দিন আরো বেড়ে যাবে বলে উক্তি করেন। যদি খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তর এইভাবে চলতে থাকে তাহলে আগামী দিন তার অন্তর জ্বলি যাত্রা একেবারে নিশ্চিত।