বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৯শে মে…….বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই পূর্ত দপ্তরের ঠিকেদারি কাজের বরাত আনতে গিয়ে খোয়াই মন্ডলের দুই গোষ্টির মধ্যে লংকা কান্ড। দা লাঠি নিয়ে এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায় । তার রেস ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই সুভাষ পার্ক কমার্শিয়াল এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচন্ড মারপিট হয়। এই মারপিটে ঠিকাদারি কাজে নিযুক্ত অংকুর দেবনাথ গুরুতর জখম হওয়াতে তাকে খোয়াই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে শুভঙ্কর ঘোষ ও অল্প বিস্তার আহত হয় বলে জানা যায়। এই দিকে খোয়াই পূর্ত দপ্তরের ভিতরে বিবাদ চলাকালীন একটি ভিডিওতে ধরা পড়ে দুষ্কৃতিকারীরা দা এবং লাঠি নিয়ে একজনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছিল। খোয়াই সুভাষ পার্ক এলাকায় যখন ঘটনাটি ঘটে তখন পুলিশ লক্ষ্য করতে পেরে দুষ্কৃতিকারীদের কে ধরতে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এই খবর পেয়ে খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার এবং মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক খোয়াই মন্ডলে এসে আক্রান্তকারীদের কাছ থেকে বিস্তারিত খবর নেন। এই বিষয়ে আক্রান্তকারীরা তাদের উপর হামলাকারীদের নাম দিয়ে খোয়াই থানায় মামলা করেন বলে জানান। পাশাপাশি ঘটনার সমস্ত বৃত্তান্ত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন আক্রান্তকারী। পাশাপাশি এও বলেন এই ঘটনা সঠিক বিচার না পেলে তারা গভীর আন্দোলনে যাবেন। অন্যদিকে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা এবং বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্যের কাছে বিষয়টি জানাবেন বলে আক্রান্তকারীরা জানান। যদিও ঠিকাদারের কাজের বরাত নিয়ে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের গোষ্ঠী কোন্দল চলছিল। এই ঠিকাদারের কাজের বরাত কে কেন্দ্র করে ঠিকাদার শ্যামল দেব কে দুষ্কৃতিকারীরা আগরতলা উত্তর গেইট এলাকা থেকে অপহরণ করেছিল গত প্রায় দুই বছর আগে। আর শ্যামল দেবের অপহরনের ঘটনা কে কেন্দ্র করে এই জল অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়েছিল রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যে। এখন দেখার বিষয় ঠিকাদারি কাজের নিকোজিশন বাণিজ্যের লাগাম টানতে রাজ্য সরকার কতটুকু সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে এই ধরনের ঘটনার হাত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে।