বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৮শে মে……বুধবার দুপুরে খোয়াই নতুন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হল ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার উদ্যোগে মহাকুমার ১৯ টি স্কুলের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নব স্বপ্নের উরান… এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সভাপতি সুশান্ত দেব, খোয়াই মন্ডল সভাপতি অনুকূল দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস, যুব মোর্চার সহ-সভাপতি খোকন দেব, খোয়াই পুর পরিসদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই জেলার যুব মোর্চার সভাপতি মানিক দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। এছাড়া এই দিন অনুষ্ঠানে খোয়াই মহাকুমার ১৯ টি স্কুলের ৪১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানের অতিথিরা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে প্রশংসা পত্র ও ট্রফি তুলে দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন। এই দিকে অনুষ্ঠান চলাকালী সময়ে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে যেমন ব্যাঘাত ঘটছিল অন্যদিকে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরাও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বিব্রত বোধ করছিলেন।শেষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুশান্ত দেব বলেন এই দিনটি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটি আনন্দের দিন। যারা প্রথম বিভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের প্রতি আহ্বান রেখে প্রশান্ত দেব বলেন ওরা যাতে আগামী দিন আরো ভালোভাবে পড়াশোনা করে নিজের এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করে। এক উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন চা বিক্রেতার ছেলে হয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারে তাহলে তাদের মধ্যে থেকে যে কোন ছাত্র ছাত্রী আগামী দিন দেশের ওই ধরনের কোন পদে আসিন হবেন না এ কথা কেউ বলতে পারেনা। তার জন্য তাদেরকে একটি গোল কে লক্ষ্যমাত্রা করে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া মা-বাবাকে সম্মান করতে হবে। পাশাপাশি নিজেদের এমন ভাবে শিক্ষিত করতে হবে যাতে মা-বাবাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে না হয়। একইভাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কাশ্মীরের পেহেল গ্রাম এর ঘটনা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাটির উপর ভারতের সেনাবাহিনীর মনের কথাও উল্লেখ করেন। এর পেছনে সমস্ত কিছু করছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ তিনি দেশকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন যার ফলে ভারত বর্ষকে আজ বিশ্বের মানুষ ভালো করে চিনতে পেরেছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মানদন্ডে জাপানের মতন দেশকে পিছিয়ে ফেলে ভারত আজ চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। আজ দেশের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অকান্তভাবে কাজ করে চলেছে। যাতে করে এই ধরনের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে আগামী দিন দেশের ভবিষ্যৎ হয়ে দাঁড়াতে পারে এর জন্য কাজ করে চলেছেন। অন্যদিকে বিজেপি দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত ও একইভাবে উপস্থিত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করে বলেন তারাই আগামী দিনে দেশের ভবিষ্য। এই তাদের মধ্যে থেকে কেউ না কেও দেশের উচ্চ শিখরে বসবে। তুনি এও বলেন পড়াশোনার কোনো বিকল্প হয়না। ভারতবর্ষের মতন দেশে মানুষ সরকারি স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ পায় এর জন্য আমরা ভারতবাসী হিসেবে গর্বিত । ভারতবর্ষের মতন দেশের জন্য গ্রহণ করতে পেরেছি বলেই সরকার বিভিন্ন স্কুলে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। আজ যদি ভারতবর্ষে জন্ম না হয় অন্য কোন দেশে জন্ম হতো তাহলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হতো। যা হয়তো অনেকের পক্ষে সম্ভব হতো না। যার ফলে আজ আমরা গর্বিত ভারতবর্ষের মতন দেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরেছি বলে। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে সকল অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে । যাতে করে কোন ছাত্র-ছাত্রীকে বাড়িতে বসে থাকতে না হয়। সবাইকে স্কুলে যাওয়ার এবং সেখানে লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান রাখেন যাতে করে আগামী দিন তারা আরো ভালো ফলাফল করে নিজের সমাজের এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করে।