বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৪শে মে……শনিবার দুপুরে এক যুবক তার অসুস্থ ৫০ দিনের শিশু ও স্ত্রীকে দেখাতে এসে খোয়াই জেলা হাসপাতালে দুর্ব্যবহারের শিকার হলো ।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুর একটা নাগাদ খোয়াই জালা হাসপাতালে। ঘটনায় বিবরণ দিয়ে খোয়াই দুর্গানগর এলাকার বাসিন্দা কমল কান্তি দেব তার স্ত্রী এবং ৫০দিনের বাচ্চাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসে খোয়াই জেলা হাসপাতালে। কিন্তু ইমারজেন্সি বিভাগে আসলেই হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী সমরেশ দেববর্মা ওই যুবকের স্ত্রীকে এখানে দেখানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এই সময় অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও কিছুই বলেনি। গোটা ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে সাংবাদিকদের জানায় সেই দূর ব্যবহারের স্বীকার হওয়া যুবকটি। ঘটনা বিবরণ দিয়ে যুবকটি জানায় তাঁর পঞ্চাশ দিনের শিশুকে নিয়ে শনিবার দুপুর একটা নাগাদ খোয়ায় জেলা হাসপাতালে আসে। যথারীতি শিশুটি চিকিৎসা করা হয় এরপর যুবকটি ভাবে ওনার স্ত্রীর যখন সামান্য ব্লিডিং হচ্ছে তাই কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসক কে দেখিয়ে নেবেন। তখনই ব্যাগ্রা মেরে বসে খোয়াই জেলা হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী সমরেশ দেববর্মা। উনার বক্তব্য জেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে এই যুবকের স্ত্রীকে দেখানো যাবে না। উনি যেন আউটডোরে গিয়ে দেখান। সেই কথা শুনে যুবক স্বাস্থ্যকর্ম কে বলেন আউটডোরে একজন অস্থি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন উনি স্ত্রীরোগ বিষয়ে কি চিকিৎসা করবে। যুবকটি এও বলেন যখন জেলা হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে একজন মহিলা চিকিৎসক রয়েছেন সেই জায়গায় একজন মহিলার বিষয়ে আরেকজন মহিলাই ভালোভাবে বুঝতে পারবেন তাই তিনি মহিলা চিকিৎসককে দেখানোর জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু খোয়াই জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী সমরেশ দেববর্মা তাদের খাতায় কোন নাম লেখেনি বরং উল্টে এই যুবক এবং স্ত্রীকে দূর দূর করে বের করে দেয় খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে। অন্যদিকে যুবকটির প্রশ্ন যে জায়গাতে খোয়াইতে অনেক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছে তাদের কাছে না গিয়ে প্রথমে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে যখন একজন মহিলা পেয়েছেন এই প্রথমে উনাকে দেখাতে চাইছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মী দুর্ব্যবহারের কারণে তিনি দেখাতে পারেননি বলে জানান। যদিও এই বিষয়ে অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা একটি কথাও বলিনি বলেও জানান। খোয়াই জেলা হাসপাতালের এই ঘটনাকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।