Wednesday, August 6, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই ট্রাফিক ইউনিটকে ঘুমে রেখে খোয়াই সুভাষ পার্ক কালিবাড়ির এক ব্যাবসায়ী অকেজো...

খোয়াই ট্রাফিক ইউনিটকে ঘুমে রেখে খোয়াই সুভাষ পার্ক কালিবাড়ির এক ব্যাবসায়ী অকেজো ব্রিজের উপর বড় বড় ২০থেকে ৩০ টনের লরি দাঁড় করিয়ে মাল আনলোড করেন প্রতিনিয়ত।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৯শে মে……খোয়াই সুভাষ পার্ক কালিবাড়ির পাকা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তাটির দুই পাশে খোয়াইয়ের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের দোকান। যথারীতি প্রতিদিন এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন খোয়াই সুভাষ পার্কে আসা বিভিন্ন ক্রেতা বিক্রেতারা। তার পাশাপাশি এই রাস্তাটি ধরে কালীবাড়ির চর গনকি যাওয়ার রাস্তাও রয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটি অভিযোগ উঠেছে। যে অভিযোগ টি হল এই এলাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কালীবাড়ি সংলগ্ন একটি ছোট পাকা ব্রিজে ১২ থেকে ১৪ চাকার গাড়ি অর্থাৎ ২০ টন 30 টন মাল বহনকারী গাড়ি দ্বার করিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী আনলোড করেন প্রতিনিয়ত। মূল বিষয়টি হল, সুভাষ পার্ক কালিবাড়ি সংলগ্ন যে ছোট পাকা ব্রিজটি রয়েছেন, সেটা দীর্ঘ বছরের পুরনো। হয়তোবা ভালোভাবে খোঁজখবর নিলে দেখা যাবে এই ব্রিজের মেয়াদ শেষের পথে। সব থেকে বড় বিষয় হল এই ব্রিজটি কি আদৌ ৩০ থেকে ৪০ টন ওজন বহন করার ক্ষমতা আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছেন। এই এলাকার থেকে অভিযোগ রয়েছেন প্রতিদিন সুভাষ পার্ক কালীবাড়ি এলাকার একজন প্রতিষ্ঠিত মুদি মাল ব্যবসায়ী প্রতিদিন এই ব্রিজের উপর মাল বোঝাই গাড়ি দ্বার করিয়ে উনার দোকানের বিভিন্ন সামগ্রী আনলোড করে থাকেন। সাধারণ যাত্রীদের অথবা এই এলাকার জনগণের ছোট বড় যানবাহন নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে মাল বোঝাই গাড়ি দ্বার করিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী আনলোড করার পরিপেক্ষিতে অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় বলে জানান। যদিও এই বিষয়টি অবশ্য খোয়াই ট্রাফিক ইউনিটের চোখে পড়ে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হল কোন মাল বোঝাই গাড়ি ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে মালামাল আনলোড করতে পারে না।এই বিষয়টি পরিবহন দপ্তরের কোন অনুমোদন নেই। তবে পরিবহন দপ্তরের আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে খোয়াই সুভাষ পার্ক কালীবাড়ি সংলগ্ন ঐ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং টি আর ০১ আর ১৫৯১ গাড়ি এবং প্রতিদিন এইরকম ভারী বোঝাই গাড়ি গুলি ব্রিজের উপর দ্বার করিয়ে মালামাল আনলোড করা হয়। অথচ জনবহুল এলাকাগুলিতে মাল বোঝাই গাড়িগুলি লোডিং এবং আনলোড করার নির্ধারিত সময়সূচী রয়েছেন। কিন্তু এই সমস্ত আইনকে একেবারে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে প্রতিদিন এইরকম কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে খোয়াই ট্রাফিক ইউনিটের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায় না। অথচ খোয়াই পুর পরিষদ মালামাল লোড আনলোড এবং পার্কিংয়ের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা রেখেছেন। এখন দেখার বিষয় খোয়াই ট্রাফিক ইউনিট এই বিষয়টিকে নিয়ে আগামী দিনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সব থেকে বড় বিষয় ২০ থেকে ৩০ টনের মালবাহী গাড়ি মাল বোঝাই করা অবস্থায় এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে দাঁড়িয়ে মালামাল আনলোড করার সময় যেকোনো ভাবে ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে অর্থাৎ কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন খোয়াই এর শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকরা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

four + 5 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য