বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৯ শে এপ্রিল…….মানব চিকিৎসকদের দ্বারা ভুল চিকিৎসার কারণে যেমন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিরা মরছে ।তেমনি ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পশু চিকিৎসকদের দাঁড়াও বিভিন্ন এলাকার গৃহপালিত পশুরাও ওই চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। আর বর্তমানে দেখা যাচ্ছে মানব চিকিৎসক এবং প্রাণী চিকিৎসকরা মিলে যেন নিজেদের মধ্যে এক প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে যে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ওই সকল চিকিৎসকরা কে কতটুকু প্রাণীদের উপর ভুল চিকিৎসার হত্যালীলা চালাতে পারে। তেমনি এক ঘটনা ঘটল খোয়াই ধলাবিল এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডে। এক প্রানী চিকিৎসকের দ্বারা ভুল চিকিৎসার কারণে চারটি শুকর ছানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মাত্র কয়েক ঘন্টায়। অভিযোগের আঙ্গুল উঠল খোয়াই ধলাবিল এলাকার প্রাণী চিকিৎসক বাচ্চু শীলের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে খোয়াই ধলাবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা শুকর পালক শ্রীমতি লিপিকা পাল জানান উনি বাড়িতে বেশ কিছু শুকর পালেন। এবং সেই শুকর গুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি শুকর ইদানিংকালে বাচ্চা প্রসব করে। তার মধ্যে একটি শুকরের দুটি বাচ্চা পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। তা দেখে এলাকারই প্রাণী চিকিৎসক বাচ্চু শীলকে ডেকে আনেন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য। যথারীতি বাচ্চু শীল লিপিকা পালের বাড়িতে এসে দুটি শুকর ছানাকে ঔষুধ দেন। এর পর শ্রীমতি লিপিকা পাল চিকিৎসক বাচ্চু শীলকে জানান আরেকটি ঘরের একটি শুকর ছানা খুবই দুর্বল। সেই বাচ্চাটিকে যেন একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। যথারীতি প্রাণী চিকিৎসক ঐ শুকর ছানাটিকে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে বলেন ঐ বাচ্চাটি দুর্বল ওর আইরন ও ভিটামিন ইনজেকশনের দরকার। যথারীতি চিকিৎসক সেই বাচ্চাটিকে আয়রনের ইনজেকশন দেন। এবং চিকিৎসক বাচ্চু
শীল শ্রীমতি লিপিকা পাল কে বলেন বাকি তিনটি বাচ্চা কেউ এই আইরন ভিটামিন ইঞ্জেকশন তিনি দিয়ে দিচ্ছেন নিজ থেকেই। যদিও বাকি তিনটি শুকর ছানা সুস্থ সবল ছিল বলে শ্রীমতি পাল জানান। এরপর তিনি নিজ থেকে ইনজেকশন দিলেন।কারণ ওনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনজেকশন রয়েছে তাই উনি বাকি তিনটি শুকর ছানা কেউ ইনজেকশন দিয়ে দেন। এই কথা শুনে শুকরের মালিক লিপিকা পাল ও সম্মতি দেন। শেষে চিকিৎসক সোমবার বিকেলে সবগুলি শুকর ছানাকে আইরন ভিটামিন ইনজেকশন দিয়ে যান। শেষে সোমবার রাত দশটা নাগাদ যখন শুকর গুলিকে খাবার দিতে জান লিপিকা পাল তখন দেখতে পান সবগুলি শুকর ছানা মরে রয়েছে। এই ঘটনা জানিয়ে প্রাণী চিকিৎসক বাচ্চু শীলকে যখন ফোন করে ঘটনাটি জানায় উত্তরে প্রাণী চিকিৎসক বলেন যে শুকর ছানা গুলির শরীরে কোন ইনফেকশন ছিল তাই মারা গেছে এই বলে নিজের দায়িত্ব থেকে হাত ঝেড়ে নিলেন। এমনকি একবার এসে দেখাও করেননি শুকর ছানাগুলির কি হয়েছে। অন্যদিকে লিপিকা পাল জানান যে জায়গায় তিনটি শুকরের ছানা সুস্থ সবল ছিল সেই জায়গায় প্রাণী চিকিৎসক বাচ্চু শীলের কথায় ভাল হবে বলে শুকর ছানা গুলোকে ইনজেকশন দেওয়ার অনুমতি দেই। এই কারণে যে হয়তো ভালো হবে। কিন্তু দেখা গেল তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে । চিকিৎসক বাচ্চু শীলের ভুল চিকিৎসার কারণে চারটি শুকর ছানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তাতে শুকর পালক লিপিকা পালের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়। তিনি এও জানা এই সশুকরের প্রত্যেকটি বাচ্চাকে সাত হাজার টাকা করে বাজারে বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনার কারণে উনার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। এই বিষয়ে শুকর পালক শ্রীমতি লিপিকা পালের বক্তব্য চিকিৎসক শুকর ছানা গুলিকে ওভার ডোজের ইনজেকশন দেওয়ার ফলে এই ঘটনাটি ঘটে। একটি শুকর মারা গেলে বোঝা যেত। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চারটি শুকর ছানাই মরে গেল ওই ইনজেকশনের কারণে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখানে স্পষ্ট প্রাণী চিকিৎসক ঐ শুকর ছানা গুলোর সাথে ভুল চিকিৎসার কারণেই মারা যায বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পশু চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসার কারনে এক পশু পালকের ৪ টি শুকর ছানার মৃত্যু।ঘটনা খোয়াই ধলাবিল এলাকায়।
