বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ১১ এপ্রিল…..ভারতীয় জনতা পার্টির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখে গত ৬ই এপ্রিল উদযাপিত হয় সারা ত্রিপুরার সাথে খোয়াই জেলার ছয়টি মণ্ডলেও। পার্টির কর্মসূচি ছিল ৬ই এপ্রিল প্রতিটি দলীয় অফিসে পতাকা উত্তোলন এবং আলোকসজ্জার। সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিও রাজ্য কমিটি থেকে প্রতিটি মন্ডলে দেয়া হয়েছে। রক্তদান, গ্রাম চলোও অভিযান, যারা কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সুবিধাভোগী রয়েছেন উনাদের সাথে মতবিনিময় সভা, দলের সক্রিয় সদস্যদের সাথে আলোচনা সভা, বিদ্যালয় এবং মন্দিরে সাফাই অভিযান সহ যারা প্রবীণ উনাদেরকে সংবর্ধিত করা। এবং বিভিন্ন গ্রামে অভিযানের কর্মসূচি তে জলাশয় পরিষ্কার এবং সমস্ত অংশের মানুষকে নিয়ে চৌপাল বৈঠক করা হয়।৭ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ২৪ রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভার লক্ষীনারায়ন পুরে গাঁও চলো অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস। উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের সভাপতি সুকেশ দেববর্মা মন্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ দেব সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় খামারটিলায় এই কর্মসূচিতে শতাধিক কর্মী অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে খামারটিলা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেন নেতাকর্মীরা। সেখানে কোন সমস্যা আছে কিনা নেতৃত্বরা জানতে চান পরবর্তী সময় এই এলাকার এক, দুই এবং তিন নং ওয়ার্ডের অলিগলিতে মিছিল করেন এবং সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে মত বিনিময় করেন। তারপর খামারটিলা স্থিত কালীমন্দির প্রাঙ্গনে সাফাই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে স্কুল মাঠে এলাকার সাধারণ জনগণকে নিয়ে চৌপাল বৈঠকে আলোচনা রাখেন মন্ডল সভাপতি সুকেশ দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক মনোজদেব এবং জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস। আলোচনায় জেলা সাধারণ সম্পাদক বলেন বিগত সাত বছরে ত্রিপুরা রাজ্যের শান্তি এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে সরকার আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করেছেন। সমস্ত অংশের মানুষের বিশ্বাস এবং বিকাশ ভারতীয় জনতা পার্টির মূল লক্ষ। তিনি বলেন গত সাত বছরে গরিব কল্যাণ অন্য যোজনা ত্রিপুরায় ছয় লক্ষ আট হাজার পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ত্রিপুরায় ৪ লক্ষ্য ২৮ হাজার ৬৫০ পরিবারকে স্থায়ী পাকা আবাস দেওয়া হয়েছে। বিগত সাত বছরে এই রাজ্যে জল জীবন মিশন প্রকল্পকে ৬ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৯ টি পরিবারের উঠানে জল পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। কিষান সম্মান নিধির মাধ্যমে ত্রিপুরার ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৫ জন কৃষককে বিগত সাত বছরে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে বৎসরের ৬ হাজার টাকা করে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় বিগত সাত বছরে ত্রিপুরায় বিনামূল্যে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮৪৭ টি পরিবারকে এই সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৫৬ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। তিন লক্ষ ষাট হাজার বাড়িতে পাকা শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত সাত বছরে তিন লক্ষ ৭৬ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাত বছরের ৪০৯ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয়েছে। মোদী ও মানিক সাহার নেতৃত্বে এই রাজ্যে ১৭,৬৪৫ টি নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আরো ৮২৫২ টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির একমাত্র লক্ষ্য এই রাজ্যের শান্তি উন্নয়ন এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠন করা। আলোচনায় তিনি সমস্ত অংশের মানুষকে ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি আদর্শ এবং দর্শনে শামিল করার জন্য স্থানীয় কার্যকর্তাদের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।