বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৬ই মার্চ……ত্রিপুরা রাজ্যে সি পি এমের ২৫ বছরের শাসনকালে প্রচুর রাজনৈতিক খুন হয়েছে।আর এই তালিকা থেকে বাদ পরে নি খোয়াই মহাকুমাও ।১৯৯৪ সালে এমনই একদিনে অর্থাৎ ৬ই মার্চ সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট নাগাদ কয়েক জ্যোতি সিনেমা হল ব্রিজের দক্ষিণ পাড়ে সিপিএমের ক্যাডার বাহিনীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল লড়াকু বাম বিরোধী আন্দোলনের নেতা দীপঙ্কর নাথ শর্মাকে। শহীদ দীপঙ্কর সম্মাকে মরন রাখতে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ ঘটিকায় খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগ লাল ছড়া জ্যোতি সিনেমা হল ব্রিজ সংলগ্ন উনার হত্যার স্থানে শহীদ বেদি বানিয়ে পুষ্পার্ঘ ও ফুলের তোড়া দিয়ে প্রথমার্ধে স্মরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি অনুকূল দাস, কয় জেলার সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার দেববর্মা, মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস, শহীদ দীপঙ্কর নাথ শর্মার ছোট ভাই অর্থাৎ খোয়াই পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা সহ পুরো পরিষদের কাউন্সিলর গণ সহ ওই এলাকার এলাকাবাসী। এদিন সকালে শহীদবি দিতে মন্ডল কার্যকর্তা সহ সবাই শহীদ বিডিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। এর পর এই দিন বিকেল চার ঘটিকায় খোয়াই বনকর স্থিত ভগৎ সিং জিননাসিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণে শহীদ দীপঙ্কর নাথ শর্মার শহীদান দিবস উপলক্ষে এক শহীদ স্মরণে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নাকি দাস চৌধুরী, খোয়াই মন্ডল সভাপতি অনুকূল দাস, জেলা সভাপতি বিনয় দেববর্মা, মন্ডল সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিরা একে একে শহীদ দীপঙ্কর নাথ শর্মার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক ও ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন।এর পর শহীদ দীপঙ্কর নাথ শর্মার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শেষে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই মন্ডল সভাপতি ও বিধায় প্রেমিকের দাস চৌধুরী সিপিএমকে এক হাতে নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন খুনি সন্ত্রাস দাঙ্গাবাজ অপহরণ কারীর দল হচ্ছে সিপিএম । গত ২৫ বছরে সিপিএমের রাজত্বে সিপি এম রাজনীতি করার নামে রক্তের বন্যা বইয়ে বইয়ে দিয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্যে। আর এখন এরা বলছে বিজেপি সরকারের আমলে নাকি আইনের শাসন নেই। তাহলে গত ২৫ বছরে রাজ্যের যে ধরনের খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অপহরণ চলছিল তখন কি শাসন ছিল রাজ্যে এই প্রশ্নটাই রাখেন বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী। বর্তমান সময়ের সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বরা আইনের শাসন নেই বলে চিৎকার-চেচামেচি করছেন বিজেপি সরকারের আমলে। আর তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে গত ২৫ বছরের বাম যমানায় কি ধরনের শাসন কায়েম করেছিল তারা সেটা রাজ্যবাসী ভালো করেই জানে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সিপিএম বিরোধী দলের নেতাদের টার্গেট করে একের পর এক হত্যা লীলা চালিয়ে গেছে যার প্রমাণ দীপঙ্কর নাথ শর্মার মতো নেতারা তাদের হাতে হত্যা হয়েছিল। অনুকূল দাস বলেন আজ থেকে ৩১ বছর আগে ১৯৯৪ সালের ৬ই মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট নাগাদ তৎকালীন সময়ে সিপিএমের ক্যাডার বাহিনী দ্বারা পরিকল্পিত ভাবে বাম বিরোধী দলের নেতা দীপঙ্কর নাথ শর্মা কে সেই শহীদ বেদীর সামনে সেই দিন রাতে হত্যা করা হয়েছিল। প্রয়াত দীপঙ্কর নাথ শর্মা ছিলেন এক জন দরদী নেতা।তাই উনাকে পথের কাঁটা ভেবে সরিয়ে দিয়েছিলো তৎকালীন সিপিএমের ক্যাডার বাহিনীরা।তাই খোয়াই বিজেপি খোয়াই মন্ডল এর উদ্যোগে আজকের দিনটিকে শহীদান দিবস হিসেবে পালিত করল। মূলত বিজেপি দল এই দিনটিকে শহীদান দিবসে হিসেবে পালিত করার পেছনের মূল কারণ হলো তিনি বাম বিরোধী আন্দোলনের একেবারে সামনে সারিতে ছিলেন। সমাবেশে অতিথিরা এই শহীদ দীপঙ্কর নাথ শর্মার মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় উঠে আসে রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতির কাহিনী অর্থাৎ বাম জামানায় কিরকম সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল গোটা ত্রিপুরা রাজ্য সহ খোয়াই মহকুমাতে সেটাই তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে উঠে আসে।