Saturday, February 22, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে খোয়াই পুরাতন টাউন হলে অনুষ্ঠিত...

খোয়াই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে খোয়াই পুরাতন টাউন হলে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২১শে ফেব্রুয়ারি……. একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ।এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি খোয়াই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে পালত হলো খোয়াই পুরাতন টাউন হলে। খোয়াই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সিদ্ধান্ত করা হয় খোয়াই জেলার সমস্ত সাংবাদিকদের এবং কয়েক জন কবি সাহিত্যিক দের সংবর্ধনা প্রদান করেন। এই উদ্যোগকে খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ সাধুবাদ জ্ঞাপন করেছেন। শুক্রবার খোয়াই পুরাতন টাউনহলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি সরকারিভাবে পালন করা হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল এই পুরাতন টাউন হলটি অর্থাৎ হলঘর পরিপূর্ণ হতে কতজন দর্শকের প্রয়োজন হয়তোবা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে একেবারেই অবগত নন বলে খোয়াই এর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের উক্তি। খোয়াই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করার লক্ষ্যে খোয়াই এর পুরাতন টাউন হলটি নির্ধারণ করা হয় অনুষ্ঠানের জন্য। অথচ এই টাউন হলে দর্শকের আসন প্রায় শূন্যই ছিল, সাংবাদিক এবং গুটি কয়েক ছাত্র-ছাত্রী মিলে টাউন হলটির চার ভাগের এক ভাগও পরিপূর্ণ হয়নি। এই হল ঘরের ভাড়া কিন্তু ঠিকই প্রদান করতে হবে পুর পরিষদকে। খোয়াই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করার জন্য সকলকে আমন্ত্রিত করেছিল সকাল ১১ টায়। কিন্তু প্রায় দুই ঘন্টা অর্থাৎ দুপুর ১টা ৩০মিনিট নাগাদ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তাতে উপস্থিত অতিথিরা অনেকটাই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার জন্য। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছিল খোয়াই জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই হতবাক হয়ে গেল ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে সেই শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান ফুল দিয়ে উপস্থিত সমস্ত অতিথি এবং সাংবাদিকরা। কিন্তু ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কিছু সময়ের জন্য যে নীরবতা পালন করতে হয় সেই বিষয়টি হয়তোবা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর অবগত নন। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে কোন ধরনের নীরবতা পালন করা হলোনা এই অনুষ্ঠানে। এই বিষয়টি নিয়ে বুদ্ধিজীবী মহল অনেকটাই হতবাক। তাছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে খোয়াই জেলার অন্তর্গত সমস্ত সাংবাদিকদের জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সম্বর্ধনা প্রদান করার কথা, কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে যে সমস্ত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয় নাই। যাইহোক কোনমতে খালি টাউনহলে সরকারি টাকা খরচ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হলো। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায়। বিশিষ্ট সমাজসেবী বিনয় দেববর্মা, পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, বিশিষ্ট সমাজসেবী সমীর কুমার দাস, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম অধিকারী সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠান শুরু নিয়ে একটা সময় অতিথিরাও অনেকটা বিরক্ত হতে লক্ষ্য করা যায়। এখন প্রশ্ন হল রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন দপ্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ প্রদান করছেন সেই অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে অবশ্যই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার সুক্ষ দৃষ্টি প্রদান করার প্রয়োজন বলে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের অভিমত।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

20 − eight =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য