বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৪ই ডিসেম্বর…… অনেক জল্পনা কল্পনার পর খোয়াই মন্ডল সভাপতি পদে কোন ভাগ্যবানকে সেই পদের জন্য সীলমোহর প্রদান করবেন বিজেপি রাজ্য কমিটি সেই দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ভাগ্যবান দাবিদারগণ। কোন ভাগ্যবান মন্ডল সভাপতির পদে বসবেন সেটা হলফ করে কেউই বলতে পারবে না। কারণ গত বৃহস্পতিবার বিজেপি দল খোয়াই মন্ডলের সভাপতি পদের জন্য দাবিদারদের আবেদনপত্র বাক্সবন্দি করে খোয়াই মন্ডলের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার মৃণাল কান্তি নাথ আগরতলা বিজেপি রাজ্য কমিটির অফিসে রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের টেবিলে পৌঁছে দিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে রবিবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ফলাফল প্রকাশ হবে।কারণ ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয়েছেন, আর এই সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে খোয়াই মহকুমা এলাকার একটা বৃহৎ অংশের জনগণ আশাবাদী ছিলেন যেহেতু রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয়েছেন দীর্ঘদিনের বঞ্চিত অংশের জনগণ অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সরকার পরিবর্তনের বাতাবরণকে উজ্জীবিত করে। বাম জমানায় যারা বঞ্চিত ছিলেন তারা আশাবাদী ছিলেন সরকার পরিবর্তন হলে নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে।কিন্তু যিনি খোয়াইয়ে মন্ডলেস্বর হয়ে বসেন তিনি দীর্ঘদিনের বঞ্চিত জনগণের ভাগ্যের চাকা না ঘুরাতে পারলেও নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে নিয়েছেন ঠিকই। খোয়াইতে কান পাতলেই শোনা যায় এ গ্রুপ বি গ্রুপের কথা। আরো শোনা যায় শতকরার হিসাব। যার ফল স্বরূপ হিসাবে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল খোয়াই জেলার সব কয়টি বিধানসভা কেন্দ্র জয় যুক্ত হলেও খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল বিজেপি দলকে। দীর্ঘ ছয় বছর খোয়াই মন্ডলের দায়িত্বে থাকায় অবস্থায় প্রথমদিকে যে অবস্থায় থাক না কেন, শেষের দিকে কান পাতলেই এ গ্রুপ বি গ্রুপের নাম শোনা যায়। কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ ২-৩ জন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সজ্জন ব্যক্তিত্বকে বাদ দিয়ে ঠিক সেই গ্রুপের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে খোয়াই মন্ডল সভাপতি পদের জন্য ১৪ জনের নামের তালিকার আবেদন পত্র জমা পড়েছেন। এই পদের জন্য যারা দাবিদার তার মধ্যে অধিকাংশই এ গ্রুপ অথবা বি গ্রুপের আশীর্বাদ প্রাপ্ত। বাকি তিনটি নাম এসেছে আলাদাভাবে অর্থাৎ সঙ্গ পরিবার এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে। এই নামগুলি হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক সঙ্গ পরিবারের সেবিকা সংগঠনের স্বরূপা দও সংঘ পরিবারের একনিষ্ঠ কর্মী অসিত ঘোষ এছাড়া রয়েছে অনুকূল দাস ও অন্যান্যরা। বিজেপি রাজ্য কমিটি খোয়াই মন্ডল এর সভাপতি পদের জন্য প্রার্থী চয়ন করার ক্ষেত্রে অর্থাৎ ১৪ জনের নামের তালিকার মধ্য থেকে যারা নামের উপর সীলমোহর প্রদান করবে অবশ্যই আগামী ২০২৮ এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা চিন্তা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে একনিষ্ঠ কর্মী সমর্থকরা। এছাড়া খোয়াই বাসি এবং বিজেপি খোয়াইয়ের একনিষ্ঠ কর্মীরা চায় মন্ডল সভাপতি চয়নের ক্ষেত্রে এ গ্রুপ বি গ্রুপকে বাদ দিয়ে সঙ্গ পরিবার থেকে সভাপতি চয়নে বিজিপি রাজ্য কমিটি যেন প্রাধান্য দেন।
কর্মী সমর্থকরাও তাই চান বর্তমান খোয়াই মন্ডল সভাপতি সবকিছু ছেড়েছুড়ে যাওয়ার পথে অর্থাৎ বানপ্রস্থে যাওয়ার সময় উনার কোন পছন্দের ভাগ্যবান মন্ডলের দায়িত্বে যেন না থাকেন। যদি উনার পছন্দের ভাগ্যবান থাকেন বা বি টিমের কোন ভাগ্যবান কে রাজ্য কমিটির সীলমোহর প্রদান করেন পুনরায় খোয়াই তে আবারো এ টিম এবং বি টিম মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। যদিও সবকিছু বিচার বিবেচনার বিষয় বিজেপি রাজ্য কমিটির কাছে।বাক্সবন্দী ১৪জনের মধ্যে কার নামের উপর বিজেপি রাজ্য কমিটির সীলমোহর প্রদান করে সেটাই দেখার। যদিও কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ সমর্থকরা আশাবাদী খোয়াইতে দলকে সুশৃংখল পথে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে দক্ষ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সঙ্গ পরিবারের আদর্শে পরিচালিত এমন ব্যক্তিকে খোয়াই মন্ডল সভাপতি পদে আসীন করবেন। এখন দেখার বিষয় রবিবার সেই ফলাফল কি রূপ নেয় ।তাই ভেবে খোয়াইতে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে ।