বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ১৮ই নভেম্বর…… গত কয়েক মাস আগে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিরাতে ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি গরু চোরের দল খোয়াই শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে চুরির ঘটনা সংঘটিত করছে। গত এক মাসে খোয়াই মহকুমা থেকে প্রায় শতাধিক গরু চুরি করে নিয়ে গেছে বাংলাদেশি গরু চোরের দল। এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল রবির গভীর রাতে খোয়াইয় সীমান্ত গ্রাম খোয়াই প্রহরমুড়া মধ্যপাড়া এলাকায় । ১০ থেকে ১২ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশী গরু চোরের দল হানা দেয় একাধিক এলাকাবাসীর বাড়িতে গরু চুরির উদ্দেশ্যে। ঐ দিন গভীর রাতে প্রহর মুড়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বাসের বাড়িতে চোরের দল গোয়াল ঘরের তালা কাটলে তিনি ঘটনাটি টের পেয়ে বসত ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলেন খালি হাতে। বাড়িতে চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঢুকে পড়েন। ঘরে বসে তিনি ওনার একাধিক ভাইও আত্মীয়-পরিজনদের ফোন করে ঘটনা জানান। দিলীপ বিশ্বাসের বাড়িতে সশস্ত্র গরু চোরের দল প্রবেশ করার খবর পেয়ে ছুটে আসে ওনার ছোট ভাই রঞ্জিত বিশ্বাস ৩৫ সহ অন্যান্যরা। রঞ্জিত বিশ্বাস একটি গলি রাস্তা ধরে ভাই দিলীপ বিশ্বাসের বাড়িতে যাবার পথে বাংলাদেশী গরু চোরের মুখোমুখি হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশি গরু চোরের দল ধারালো দা দিয়ে রঞ্জিত বিশ্বাসকে কোপ দিলে তার বাঁ হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে টুকরো হয়ে পড়ে যায়। ঘটনার পরই বাংলাদেশি গরু চোরের দল বাল্লারবের এলাকার একটি ইট ভাট্টার পাশ দিয়ে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যায় বিএসএফের সামনেই। পরে রাতে আহত রঞ্জিত বিশ্বাসকে(৩৫) খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে জিবি হাসপাতালে পাঠান। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে স্থানীয় বিএসএফের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অভিমত সীমন্ত রক্ষী বাহিনী সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে বাংলাদেশী চোরের দল ভারতে প্রবেশ করে ছুরির ঘটনা সংঘটিত করতে পারতনা।