তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি-
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ১৪ ই নভেম্বর সন্ধ্যা সাত(৭)টা নাগাদ বিশ্বমনি দেববর্মা সহধর্মিনী স্বপ্না দেববর্মা গুলি বিদ্ধ হয়।
তার সঙ্গে থাকা আরো দুজন মহিলা গুরুতর আহত অবস্থায় স্বপ্না দেববর্মা’কে মুঙ্গিয়াকামী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর হওয়াতে জিবি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
এদিকে এই গুলি কান্ডের ঘটনা খবর পৌছাই মুঙ্গিয়াকামী থানায়। এই গুলি কান্ডের মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত ক্রমে মুঙ্গিয়াকামি থানার ওসি গৌতম দেববর্মা নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুইবাগলাই এলাকার এক জুমিয়া চাষী সন্ধিরাম দেববর্মা’কে সন্দেহ মূলক তুলে নিয়ে আসে মুঙ্গিয়াকামী থানায়। সন্ধিরাম দেববর্মা’কে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনা সে নিজেই করেছে স্বীকারোক্তি দেয়। এই খবর জানতে পেরে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পান্নালাল সেন মুঙ্গিয়া কামী থানায় পৌছায়। পরে সেখান থেকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ধৃত সন্ধিরাম দেববর্মাকে নিয়ে তুইবাগলাই এলাকায় পৌঁছাই।
কেন এবং কিভাবে ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশ’কে জানায়, ধৃত সন্ধিরাম দেববর্মা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশি বন্দুকটি। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুলিশের কাছে যে বিষয়টি নিয়ে গুলি কান্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়টি তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান,,,জুমিয়া সন্ধিরাম দেববর্মা বক্তব্য অনুযায়ী, উৎপাদিত জুমের ফসল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বিগত কয়েকদিন ধরে।
সন্ধ্যা হতেই বৃহস্পতিবার পাহারাই ছিল সন্ধিরাম দেববর্মা। চোর সন্দেহে দেশি বন্দুকের গুলি চালায়। আর তাতে স্বপ্না দেববর্মা দেশি বন্দুকের গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনা ঘটিয়ে বন্দুকটি জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।