বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১লা নভেম্বর…. কথায় বলে দুর্বলের উপর সবলের শোষণ সেই কাল থেকে এই কালেও চলে আসছে। এখন আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করি এই কথাটা হয়তোবা অনেক প্রতিপত্তি সবল অংশের নিকৃষ্ট অংশের নাগরিকরা ভুলে গিয়েছে। দেশে শ্রমজীবী অংশের মানুষের জন্য এবং ক্রেতাদের সুরক্ষা বিষয়ে আলাদা আলাদা দপ্তর রয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু একাংশ নিকৃষ্ট মনের ব্যবসায়ী আছে যারা নিজেদেরকে কর্মচারীর কাছে এবং সাধারণ ক্রেতার কাছে উৎকৃষ্ট একজন ভাবেন। এমনই একটি ঘটনা বৃহস্পতিবার খোয়াই শহরের প্রাণ কেন্দ্রে পরিলক্ষিত হয়। খোয়াই শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন সুচিত্রা মিষ্টন্ন ভান্ডারের কর্ণধার দিলীপ ঘোষ ওনার পিতার সমবয়সী কর্মচারীর সঙ্গে কোন এক বিষয় নিয়ে অভাব্য আচরণ করতে থাকে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ মিনিট সময় ধরে সত্তরের উর্ধ্ব কর্মচারীকে গালি গালজ করতে থাকে। এবং এক পর্যায়ে উনাকে মারার জন্য উদ্যত হতে দেখা যায়। পাশাপাশি এই সুচিত্রা মিষ্টান্ন ভান্ডারে তৎকালীন সময় একজন মহিলা ক্রেতা এই দোকান থেকে কিছু একটা ক্রয় করে সম্ভবত ৫০০ টাকার নোট দিয়েছিল ওই মহিলা ক্রেতাকে বেশ কিছু কথা শুনিয়েছেন কেন ওই মহিলা ক্রেতা খুসরো টাকা নিয়ে আসেন নি । খোয়াইতে কান পাতলেই শোনা যায় সুচিত্রা মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার দিলীপ ঘোষ দোকানের কর্মচারী এবং ক্রেতাদের সঙ্গে দুর ব্যবহারের কথা পাশাপাশি চারিত্রিক গুণাবলীর কথাও। করুণা কালীন সময় ওনার স্ত্রী করুনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় কিন্তু সারাদেশে যখন করুনা কালীন বিধি নিষেধ মান্যতা দেওয়ার জন্য প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই সুচিত্রা মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার দিলীপ ঘোষ এর স্ত্রী করুণায় আক্রান্ত হয় মৃত্যুবরণ করেন। তারপরও দোকান খুলে রাখেন এবং ক্রেতাদের কাছে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করেন পরবর্তীতে এলাকার জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য সুচিত্রা মিষ্টান্ন ভান্ডার বন্ধ করে দেন। দিলীপ ঘোষের দুর্ব্যবহার খোয়াই এর প্রত্যেক নাগরিক অবগত ছিল এত দিন। বৃহস্পতিবার সুচিত্রা মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার দিলীপ ঘোষ উনার পিতৃ সম কর্মচারীর সঙ্গে যখন দুর্ব্যবহার করছিল , কয়েকজন ক্রেতা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করেন ও তখন কয়েকজন ক্রেতা উনার দূর ব্যবহারের জন্য প্রতিবাদ করেন তিনি ক্রেতাদের জানান উনার কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ক্রেতারা প্রতিবাদ করতে পারবে না, তিনি বেতন প্রদান করেন কর্মচারীদের কিন্তু প্রশ্ন হল দেশে এবং রাজ্যে শ্রমজীবীদের জন্য শ্রম দপ্তর এবং আইনের ব্যবস্থা রয়েছেন, এখন দেখার বিষয় খোয়াই এর সাধারণ ক্রেতারা এবং শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারা সুচিত্রা মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্ণধার দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাই দেখার বিষয় ।