বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৪ঠা সেপ্টেম্বর……. রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত এক পুলিশ অফিসার নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না !রাগের মাথায় উচ্চপদস্থ এক আধিকারিককে লাঞ্ছিত করলেন নিচুস্তরের আধিকারিক মঙ্গলবার রাতে । শেষে মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পরিপেক্ষিতে পুলিশের সদর কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে জরুরী ভিত্তিতে পুলিশের সদর কার্যালয় রাজধানীতে তলব করেছেন খোদ রাজ্য পুলিশ অধিকর্তা ।গোপন সূত্রের খবর অনুসারে ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে খোয়াই জেলা সদরে। খোয়াইয়ের জেলা পুলিশ সুপার ডক্টর রমেশ যাদবের ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে থাকায উনার দায়িত্ব পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে বর্তমানে খোয়াই জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্বে দিয়েছেন বলে জেলা পুলিশ কার্যালয় সুত্রে সংবাদ । এখানে অভিযোগ মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক পোষণ কান্তি মজুমদার নিজের ডিউটি সঠিকভাবে পালন করেন না। তাই এই বিষয়ে খোয়াই জেলার বর্তমান সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে ‘কে’অবগত করানো হয়েছে। যথারীতি খোয়াই জেলার বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি মজুমদার কে জিজ্ঞাসা করেন তিনি এখন কোথায় আছেন শ্রী মজুমদার সত্যি কথা বলেন যে তিনি আগরতলায় আছেন।তখন এস পি কিরণ কুমার কে পরিষ্কারভাবে বলেন তিনি যেন দ্রুততার সঙ্গে খোয়াইতে আসেন। এই বিষয়টি শোনার পর প্রসূনবাবু অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বলে সূত্রের খবরে জানাযায়। হয় তো বা প্রসূন বাবু ধরে নিয়েছেন তিনি যে খোয়াইতে নেই এই বিষয়টি কিরণ কুমার কে মহোদয়কে অবগত করেছেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর পাল চৌধুরী। প্রসূন বাবু খোয়াইতে এসে প্রথমেই খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার কে ফোন করে সমস্ত ঘটনাটি বলেন। এবং জানান এখন তিনি থানাতে আসবেন এবং প্রবীর বাবুকে জিজ্ঞাসা করবেন। তাতে থানার ওসি সুবীর বাবু বাধা দেন। এই বিষয়টি পরবর্তীতে অর্থাৎ বুধবার সকালে জিজ্ঞাসা করার জন্য অনুরোধ করেন। এর মধ্যেই প্রসুন বাবু চলে আসেন খোয়াই থানাতে যথারীতি পাশে থাকা খোয়াই থানার আরেক পুলিশ কর্মীকে খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার প্রবীর পাল চৌধুরী মহোদয়ের কোয়ার্টারে যেতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কোয়ার্টারে পুলিশ কর্মী ও ওসি সুবীরবাবু চলে আসেন। এসেই দেখতে পান পুলিশ আধিকারিক পুশন কান্তি মজুমদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীর পাল চৌধুরীর মধ্যে বাক-বিতণ্ডা চলছ তখন রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা । তখন দুইজন অধীনস্থ পুলিশ কর্মী তাদের বাকবিতণ্ডাকে থামানোর চেষ্টা করেন এবং যথারীতি দুইজনকে আলাদা করে দেন। খোয়াই থানার দুই পুলিশ অফিসার সেই দুই আধিকারিক এর বাক বিতান্ড রোধ করতে দুইজনকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরে প্রসূন বাবুকে থানায় নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। পূষণ বাবু তখন স্বাভাবিক ছিলেননা বলেও সূত্রের খবর রয়েছে। যে পুলিশ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্র নিয়োগ করে এবং জনগণের করের টাকায় তাদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়, সেই পুলিশ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া দূরের কথা নিজেদেরকেই বাঁচাতে পারেন না পুলিশের গুন্ডাগিরীর হাত থেকে । অর্থাৎ এই আমলে পুলিশের ক্ষেত্রে “রক্ষকই ভক্ষক” এই বাংলা প্রবাদটি প্রকৃত অর্থেই প্রতিপাদ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পোষণ কান্তি মজুমদার এর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে উনি জানান, উনার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য বহি:রাজ্যে আজই চলে যাচ্ছেন পরবর্তী সময় ছুটি সেরে ফিরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। দুই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় খোয়াই জেলাতে এখন ছি ছি রব উঠেছে! এখন দেখার বিষয় এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশ অধিকর্তারা কি ধরনের ভূমিকা গ্রহণ করে এই ধরনের নেককারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে ।