খোয়াই প্রতিনিধি ৩০শে জুলাই……রাজ্যের নাগরিকদের মৌলিক পরিষেবা দিতে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন। বর্তমান ডাবল ইঞ্জিনের সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সুফল সমাজের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা প্রায় প্রতিদিন এই বক্তব্য তুলে ধরলেও বাস্তবে পরিস্থিতিটা ঠিক তার উল্টো। দেখা গেছে ২০০৩ সালের ৬ই জুন প্রতিদিন ১০ লাখ গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন পানীয় জল শোধনাগারের উদ্বোধন হয়েছিল খোয়াই অফিস টিলায়।খোয়াই নদী থেকে উত্তোলন করে পানীয় জল শোধনাগার টি কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত হয়। তাইতো বলা হয় জলের অপর নাম ‘জীবন’। জল ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। তৎকালীন সময়ে খোয়াই শহরাঞ্চলের নাগরিকদের পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি বাস্তবায়নে ৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। উপকৃত হন প্রায় দুই হাজার সুবিধাভোগী। তৎকালীন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী সমস্ত সুবিধা সহ নদী থেকে উত্তোলিত জল শোধনাগারের ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশও করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে এই প্রকল্পের সঠিক তদারকির করার অভাবে শহরবাসীকে দু’বেলা পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই না এই বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ নামে প্রতিদিন নোংরা জল খোয়াই নগরবাসীর মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।এবং এই নোংরা জলের সাথে কেঁচো, শামুক,সহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়,নোংরা জিনিস এই পানীয় জলের সাথে চলে আসে।শুধু তাই না বিশুদ্ধ পানীয় জলের নামে একেবারে নোংরা জল সরবরাহ করা হচ্ছে খোয়াই শহরের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বলে অভিযোগ উঠছে শুধু তাই নয়, জল পরিশোধন করার ক্ষেত্রে টাইমার গুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না যার ফলে নোংরা জল সরবরাহ করা হচ্ছে।পানীয় জল ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দপ্তরের আধিকারিক পার্থ প্রতিম দেব জানান মূলত বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে কর্মী সল্পতা এবং পরিকাঠামো গত উন্নয়নে সমস্যা। এই বিষয়ে তিনি খোয়াই পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন শ্রী দেবাশীষনাথ শর্মা মহোদয়কে অবগত করেছেন। এরপর গত ২০২৩ সালে ত্রিপুরা আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্থাৎ “টুডা’র প্রতিনিধিরা প্রকল্পটি সরজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু তারপরও পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুর বাসীকে দু-বেলা পরিশ্রুত পানীয় জলের নামে নোংরা পানীয় জল সরবরাহ করছে দপ্তর।যখন সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা শুরু করা হয়েছে। এই সংকল্প যাত্রার পাশাপাশি রাজ্যে প্রতি ঘরে সুশাসন 2.0 প্রচারও শুরু হয়েছে ,মূলত এই সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের উদ্দেশ্য হল সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও সেবা জনগণের কাছে পৌঁছনো। এখন দেখার বিষয় কত দ্রুত ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জলের যোগান দিয়ে প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচির বাস্তবায়ন করে যাতে করে খোয়াই বাসী বিশুদ্ধ পানীয় জল পেয়ে থাকে।