খোয়াই প্রতিনিধি ২৯শে এপ্রিল……গত প্রায় এক পক্ষ কাল ধরে তাপমাত্রা একেবারে ঊর্ধ্ব গতিতে চলছে তাতে করে সাধারণ জন জীবন বিপন্ন।সোমবার দিনটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।সেই তাপমাত্রাকে সহ্য করতে হয়েছে সাধারণ জনগণকে। যার জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তর পর পর দুবার করে স্কুল গুলিতে ছুটির ঘোষণা করেছেন যাতে করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজ এসে অসুস্থ না হয়।এত তাপমাত্রার মধ্যেও এক শ্রেণীর জনগণ এই প্রখর রৌদ্রেকে উপেক্ষা করে জীবন যুদ্ধের লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। শুষ্ক এলাকাগুলিতে বিশেষ করে টিলাভূমিতে যারা বসবাস করে তাদের এই ভয়াবহ তাপমাত্রাতে পানীয় জল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।আর এই ভাবে যদি আরো ১৫ দিন যদি চলতে থাকে তাহলে ভয়াবহ তাপমাত্রা জন্য সাধারণ কৃষকদের ক্ষেত খামার শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবে এক ফোটা জলের চিহ্ন মাত্র থাকবে না। গ্রামীণ এলাকায় খাল বিল নালা একেবারে শুকিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ জনগণ একমাত্র সরকারি অটল জলধারা পাইপ লাইনের জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সবথেকে বড় বিষয় যারা দিনমজুর নিত্যদিন তাদের কাজের উপর নির্ভর করে ঘর সংসার প্রতিপালন করতে হয় তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায় এই প্রখর রৌদ্রে। রিস্কা শ্রমিক অটো শ্রমিক। তাদের কিন্তু এই প্রখর রোদ্রে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়। এই কথা চিন্তা করে বিজেপি যুব মোর্চা খোয়াই জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে খোয়াই রাধানগর স্ট্যান্ডে এক জলছত্রের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সাধারণ জনগণের কথা মাথায় রেখে পানীয় জল ও শরবত পথ চলতি জনগণের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এই কর্মসূচি সফল করার স্বার্থে যুব মোর্চার নেতৃত্ব কর্মী এবং বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সমীর কুমার দাস উপস্থিত থাকেন। এইরকম উদ্যোগকে খোয়াইয়ের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ সাধুবাদ জ্ঞাপন করেন। গত একপক্ষ কাল ধরে সূর্য মামার যে বাড়বাড়ন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে, যদি বরুণ দেবতার আশীর্বাদ প্রদান না করেন সাধারণ জনগণ চলাচল করাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে এর পাশাপাশি হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল ।তাইতো বলে প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কারোর নেই আর বর্তমানের এই দাব দাহের জন্য দায়ী আমরাই কারণ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করেছি আমরা এর খেসারত আমাদের কি ভোগ করতে হবে।
বাসুদেব ভট্টাচার্যের খোয়াই।