একাংশ সরকারি চিকিৎসকদের দৌলতে বিভিন্ন সময় ত্রিপুরা রাজ্যে সরকারের মুখ পুড়ছে। এবার এমন এক ঘটনা উঠে এলো তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে, যেখানে পরিষ্কার দেখা যায় কিভাবে সরকারের চাকর হয়েও জনৈক চিকিৎসক রীতিমতো সরকারি চিকিৎসা পরিষেবাকে হাসির খোরাকে পরিণত করে চলেছেন। মাননীয় এই চিকিৎসক হচ্ছেন ডক্টর অজয় কুমার হালাম। অজয় বাবু তেলিয়ামুড়া শহর উপকণ্ঠের কোন এক ফার্মেসিতে নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ প্রাইভেট চেম্বারও পরিচালনা করছেন। করতেই পারেন, রাজ্যের অনেক জায়গাতেই বিভিন্ন চিকিৎসকেরা চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজনে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনদের প্রতিপালনের তাগিদে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে চলেছেন। তবে হাসপাতালে বসে রোগী আসলে রোগীকে সরাসরি নিজের প্রাইভেট চেম্বারে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বুক ফুলিয়ে স্বীকার করে সত্যিই রাজ্যের চিকিৎসা মানচিত্রে এক নবতম সংযোজন করলেন অস্থি রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর অজয়। অভিযোগ বাসনা দেবনাথ নামের এক ৬০ ঊর্ধ মহিলা পায়ে ব্যথা নিয়ে আসলে ডাক্তার বাবু পরিষ্কার জানিয়ে দেন উনার পায়ে প্লাস্টার করতে হবে এবং এই কাজটা করার জন্য সংশ্লিষ্ট রোগী যাতে করে ওনার অম্পি চৌমুহনীর প্রাইভেট চেম্বারে চলে যান সেই নির্দেশ দিয়েছেন ডাঃ অজয় কুমার। গোটা বিষয়ে নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের তরফ থেকে ডাক্তারবাবুর বক্তব্য জানতে গেলে ডাক্তারবাবু বুক ফুলিয়ে বলে দেন যেহেতু হাসপাতালে তিনি ডেপুটেশনে এসেছেন তাই প্লাস্টার করবেন না, এই জন্যই রোগীকে উনার প্রাইভেট চেম্বারে যেতে বলেছেন এমনটাই দাবি অজয় কুমারের। এদিকে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এম ওআইএসির সাথে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করলেও করা যায় নি। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালকে ব্যবহার করে স্থানীয় মানুষদের তথা মহকুমা বাসীদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য রাত দিন এক করে কাজ করে চলেছেন স্থানীয় বিধায়িকা তথা মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়। তবে যেভাবে ডক্টর অজয় কুমার এর মত সরকারের মাসুয়ারা প্রাপ্ত চিকিৎসকেরা চিকিৎসা পরিষেবার নামে নিজেদের ব্যক্তিগত রোজগারের ধান্দা টাকেই হাতিয়ার করে চলেছেন সেই নিরিখে নিশ্চিত ভাবে বলা চলে সরকারের মুখ পুড়ছে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন বর্তমানে ডেপুটেশনে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে থাকলেও এর আগে ডঃ অজয় কুমার যখন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে তাই চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন তখন তিনি নিজেই সুনামের সাথে অনেক প্লাস্টার সহ রোগীদের পরিষেবা দিতেন,তবে বর্তমানে নিজের আখের গোছানোর তাগিদে ডক্টর অজয় কুমার প্রকৃত অর্থে রোগীদের পরিষেবা প্রদান করার বদলে নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টাকা কামানোর ধান্দায় নেমেছেন বলে গুঞ্জন।