Sunday, September 8, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই কৃষি দপ্তরে জেলাভিত্তিক মৃত্তিকা পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ।অনুষ্ঠানে...

খোয়াই কৃষি দপ্তরে জেলাভিত্তিক মৃত্তিকা পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ।অনুষ্ঠানে অপমানিত সাংবাদিকরা।

খোয়াই প্রতিনিধি ১৪ই মার্চ…. বৃহস্পতিবার সকালে খোয়াই কৃষি দপ্তরের কার্যালয়ে উদ্বোধন হলো জেলা ভিত্তিক মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রর।এই মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।এই দিন অনুষ্ঠানের মঞ্চে মাননীয় মন্ত্রী ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা,সহ-সভাধিপতি হরিশংকর পাল ও সদস্য সুব্রত মজুমদার,কৃষি দপ্তরের ডিরেক্টর শরদিন্দু দাস,এই দিন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস।বৃহস্পতিবার খোয়াইতে জেলাভিত্তিক মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন কালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন সরকারের শুধু মাত্র রাস্তাঘাট আর পাকা বাড়ি তৈরি করলেই হবে না। দেশ এবং রাজ্যের সম্পদ কিভাবে হবে রাস্তাঘাট দিয়ে তো সম্পদ বাড়ানো যায় না।যদিও এগুলো দেখার দায়িত্ব সরকারের রয়েছে ।তাইতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিভাবে কৃষি এবং কৃষকদের উন্নতি করা যায় সেদিকে চিন্তাভাবনা করে কাজ করে যাচ্ছেন।অন্যদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের অন্নদাতা হিসেবে সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন এবং কৃষকদের জন্য সার বীজ কৃষি সামগ্রী কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকি মাধ্যমে প্রদান করে যাচ্ছেন ।সেদিকে চিন্তা ভাবনা করে সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে সরকার এবং রাজ্য কৃষি দপ্তর রাজ্যের কৃষকদের জন্য কাজ করে চলেছেন।তাইতো তিনটি সেক্টর বিশেষ করে জরুরী প্রথমত কৃষি দ্বিতীয়ত শিল্প তৃতীয়ত বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা যেমন হোটেল রেস্তোর এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা।তিনি এও বলেন রাজ্য এবং দেশের মূল ভিত্তি হল কৃষি ।আর ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ার কারণে কৃষকদের আয় কিভাবে দ্বিগুণ করা যায় এই লক্ষ্যকে কেন্দ্র সরকার কাজ করেছে।কৃষকদের আয় যদি দ্বিগুণ হয় তাহলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।তাই রাজ্য সরকার তথা কৃষি দপ্তর কৃষকদের সমৃদ্ধ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।কৃষকদের শুধু টাকা দিলে হবে না যদি না উৎপাদন হয়। যদি খাদ্যে সর্ষের যোগান দিতে না পারা যায়। তাইতো কৃষকদের জন্য সয়েল হেলথ কার্ড চালু করা হয়েছে যতদিন না কৃষকরা তাদের জমি গুলির মাটি পরীক্ষা করে জানতে পারবেন সে জমিতে কি ধরনের চাষবাস করলে কৃষকরা উপকৃত হবে।আর যদি কৃষকদের সেই জমি সম্পর্কে কোন ধারণাই না থাকে তাহলে সেই জমিতে ভালো চাষ করতে পারবে না কৃষকরা এর জন্য দরকার মাটি পরীক্ষা করা মাটিতে কি পরিমানে কৃষি কাজ করার জন্য কি উপাদানের ঘাটতি রয়েছে কি ফসল কোন জমিতে চাষ করলে ভালো হবে সেটা মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। এই বিষয় গুলো জানার পরেই কৃষকরা জমি বুঝে ফসল চাষ করলে তখন কৃষকরা বেশি পরিমাণে উৎপাদন করতে পারবেন এবং কৃষকরা ভালো রোজগার করতে পারবেন বলে মনে করেন মাননীয় কৃষি মন্ত্রী। কেন দরকার মাটি পরীক্ষা আগে কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করার জন্য যেতে হতো আগরতলা অরুন্ধতীনগরে কিন্তু বর্তমানে বেশ কয়েকটি জেলাতে এই পরীক্ষা কেন্দ্রটি রয়েছে তার মধ্যে গোমতী জেলা, ধোলাই জেলা, উত্তর ত্রিপুরা জেলার পাশাপাশি খোয়াই জেলা তোও এমনই একটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হলো এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের গাড়ি রয়েছে যে গাড়িগুলি ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় মৃত্তিকা পরীক্ষা করে ।তাই তিনি সবার প্রতি আহ্বান করেন কৃষকদের ছোট করে না ভাবে এবং সমস্ত কৃষকদের প্রতি আহবান রাখেন তাদের জমির মাটি পরীক্ষা করে কৃষিকাজ করলে আগামী দিন দ্বিগু লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী।এরপর অনুষ্ঠান শেষে মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের ফলক উন্মোচন করেন এবং নতুন বিল্ডিং এর ফিতা কেটে দার উদঘাটন করেন এবং মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশের বিষয়ে অবগত হন। মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধনে খোয়াই জেলাার কৃষকদের কৃষি কাজ করার ক্ষেত্রে ও জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে অনেকটাই সহায়ক হবে বলে একটা বৃহৎ অংশের কৃষকদের বক্তব্য। এখন দেখাার বিষয় এই মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রটি কৃষকদের সহায়তার ক্ষেত্রে কতটুকু সফলতা এনে দেয়।তবে জানা যায়এই মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্রটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪২ লক্ষ টাকা।অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সরকারি এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের নিমন্ত্রণ করে নিয়ে একপ্রকার অপমান করলো দপ্তরের কর্তারা। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ছিল জেলাভিত্তিক মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে দপ্তরের পক্ষ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের কে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। যথারীতি চিঠিতে দেওয়া নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হলেও অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রায় দেড় ঘন্টা পর। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত সাংবাদিকদের দপ্তরের পক্ষ থেকে মৌখিক আপ্যায়ন বা সৌজন্যতাবোধ মূলক কথা তো দূরের কথা একটু জলের ব্যবস্থা পর্যন্ত করে দেইনি অন্যান্য সম্মান তো দূরের কথা কেন এই অ-ব্যবস্থা সেটাই প্রশ্ন সমস্ত সাংবাদিকদের। যেখানে মাননীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষ, অফিস কর্মচারী ও ভিআইপি সবাইকে যেভাবে সম্মান জানিয়ে উনার বক্তব্য শুরু করেছেন ঠিক সেই ভাবে সাংবাদিকদের কে ও যথাযথ সম্মান জানিয়েছেন। এবং বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক বক্তব্যের মধ্যে সাক্ষী হিসেবেও সাংবাদিকদের কে ব্যবহার করেছেন। তাতে সাংবাদিকরা খুশি হলেও এখানে প্রশ্ন হল মাননীয় মন্ত্রী রতনা লাল নাথ একজন পোড় খাওয়া নেতৃত্ব ও সিনিয়র লিডার । সেই ব্যক্তির সভায় উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকরা অপমানিত হবে সেটা ভাববার বিষয় । উল্লেখ্য বেশ কিছু সরকারি দপ্তর গুলির মধ্যে একটা অংশের কর্মচারী সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে অপমান করার জন্য এক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। এই এই ধরনের নোংরা প্রতিযোগিতা বিভিন্ন দপ্তরকে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যতায় সাংবাদিকরা ও একটা কিছু ভাবতে বাধ্য হবে আগামী দিন যা কারোর পক্ষে শুভ হবে না। পাশাপাশি কোন একটা অংশ চায়না সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের প্রচার হোক।তাই এই ধরনের নোংরা রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে খোয়াই মহাকুমার বিভিন্ন দপ্তর গুলি এবং তার আধিকারিকরা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

eighteen − two =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য