Sunday, December 22, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদউদ্বোধনের আগে ছয় মাসের ব্যবধানে কল এবং জলের পাম্প চুরি হয়ে গেল...

উদ্বোধনের আগে ছয় মাসের ব্যবধানে কল এবং জলের পাম্প চুরি হয়ে গেল খোয়াই মিলন তন্তু বায় সমবায় সমিতির কার্যালয় থেকে।

খোয়াই প্রতিনিধি ১লা নভেম্বর…..উদ্বোধনের আগেই গত ছয় মাসের ব্যবধানে খোয়াই অফিসটিলা স্থিত মিলন তন্তু বায় সমবায় সমিতি লিমিটেড এর দপ্তরে চোরের দল রাতের অন্ধকারে একটি কল এবং একটি মোটর পাম্প চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিলন তন্তু বায় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় কুমার দেবনাথ।ঘটনায় বিবরণ দিয়ে বুধবার সকালে বিজয় কুমার দেবনাথ জানানগত প্রায় এক বছর আগে খোয়াই পুর পরিষদের পক্ষ থেকে মিলন তন্তু বায় সমবায় সমিতির জন্য একটি চাপ কল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং সেই শৌচালয়ে জল তোলার জন্য একটি মোটর পাম্প ও লাগিয়ে দেওয়া হলেও সেই শৌচালয়ের চাবি কিন্তু আজ পর্যন্ত সমবায় সমিতির হাতে তুলে দেয়নি পুরপরিষদ এক বছর অতিক্রান্ত হবার পরও এক কথায় আনুষ্ঠানিকভাবে সেই শৌচালয়ের উদ্বোধনই হয়নি।আর এরই ফাঁকে এলাকার কিছু চোরের দল সমবায় সমিতির চাপ কলটিকে গত ২৭শে এপ্রিল প্রথম চুরি করে নিয়ে যায় ।এবং ইতিমধ্যে দূর্গা উৎসবের জন্য বিভিন্ন অফিস বন্ধ ছিল গত ত্রিশে অক্টোবর পর্যন্ত সেই বন্ধের মধ্যে চোরের দলরা আবার সেই সমবায় সমিতি অফিসের শৌচালয়ের গ্রিলের তালা ভেঙে মোটর পাম্পটিকে চুরি করে নিয়ে যায় এবং সমিতির অফিসের পেছনের দরজা ভেঙ্গে আলমারিতে রাখা বিভিন্ন কাগজপত্র গুলিকে লন্ডভন্ড করে দেয়।যদিও চেয়ারম্যান বিজয় কুমার দেবনাথ পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত করে যান।এই বিষয়ে মিলন তন্তু বায় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় কুমার দেবনাথ সংবাদ মাধ্যমকে জানান এই এলাকারই কিছু বখাটে নেশাখোর যুবকরা এই চুরি কাজের সাথে জড়িত বলে মনে করছেন। শুধু তাই না ওই নেশাখোর যুবকরা প্রতিদিন রাতে সমবায় সমিতির অফিসের সামনে নেশার আসর বসায় যার ফলে দেখা যায় পরের দিন সকালে অফিসের সদর দরজার সামনে প্রচুর পরিমাণে মদের বোতল গ্লাস ও জলের বোতল পড়ে থাকে এবং অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসের অন্যান্য কর্মীরা প্রতিদিন তা পরিষ্কার করছেন ।ওই সব বখাটে নেশাখোর যুবক রাই এই চুরি কান্ডের সাথে জড়িত বলে মনে করছেন।শুধু তাই না সমবায় অফিসের উল্টোদিকে ডি ডাব্লু এস দপ্তর রয়েছে সেই দপ্তরের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ এই চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায় পুজোর বন্ধে যদিও শেষে সেই গুলিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় দপ্তর বলে জানা যায়।কিন্তু এই এলাকাতে বিভিন্ন দপ্তরে রাতে অন্ধকারে চোরের দলের সরকারি সম্পত্তি একের পর এক চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে তাতে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা ব্যাপক উৎকণ্টায় রয়েছে।বিশেষ করে নেশায় আসক্ত যুবকরাই পয়সার অভাবে ওইসব কাজ করে চলেছে মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে। ওই নেশাখোর চোরদের যদি সময় মত লাগাম না টানা যায় তাহলে আগামী দিন বড় ধরনের চুরি ঘটনা ঘটতে পারে ওই এলাকার বিভিন্ন দপ্তরে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

nineteen − eight =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য