খোয়াই প্রতিনিধি ৮ ই সেপ্টেম্বর…… নাকা তল্লাশিতে পুলিশকে ঘুষ না দেওয়ার কারণে পুলিশের এক কনস্টেবলের হুকুমে সি আর পি এফের লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত এক যুবকে গুরুতর অবস্থায় জীবিত রেফার করা হয়।ঘটনা খোয়াই থানার অন্তর্গত বেলফাং এলাকায় শুক্রবার দুপুর আনুমানিক তিনটা নাগাদ।এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে সি আর পিএফ এর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয় খোয়াই পহর মুড়া এলাকার বাসিন্দা তপন শুক্ল বৈদ্য ৩৪ তার ভাতিজা অনুপম শুক্লা বৈদ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানান বিগত বেশ কিছুদিন ধরে কোন এক কারণ বশত ওরা নিরামিষ খাচ্ছিল সেই সুবাদে শুক্রবার নিরামিষ খাবার দিন শেষ হওয়াতে কাকা তপন শুক্লবৈদ্য এবং তার ভাতিজা অনুপম শুক্লবৈদ্য ঠিক করে যে আগরতলা তে গিয়ে কে এফ সি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি ফিরবে সেই উদ্দেশ্যে তারা একটা গাড়ি নিয়ে দুপুর নাগাদ আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং খোয়াই থানাধীন বেলফাং এলাকাতে আসলে পুলিশের নাকা চেকিংয়ে গাড়িটিকে দাঁড় করায় এবং তল্লাশি চালায় ।কিন্তু তখন তল্লাশি চলাকালীন থানার কোন অফিসার ছিল না ,ছিল একজন কনস্টেবল রাজীব দেবনাথ তারই নেতৃত্বে নাকা চেকিং চলছিল সি আর পি এফ জোয়ান দের নিয়ে। তখন কনস্টেবল রাজীব দেবনাথ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মদের বোতলের একটি ছিপি শুধু খুঁজে পায় তখন কনস্টেবল রাজীব দেবনাথ তাদের গাড়িকে রাস্তার সাইডে দাঁড় করাতে বলে এবং ৫ হাজার টাকা দিতে বলে তখন তপন শুক্ল বৈদ্য তাদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা নেই ২০০০ টাকা আছে তা দিতে রাজি এই কথার পর কনস্টেবল রাজিব দেবনাথ ও তপন শুক্ল বৈদ্য ও তার ভাতিজা অনুপম শুক্ল বৈদ্য একসাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় তখন কনস্টেবল রাজিব দেবনাথ তাদের গাড়ি শুদ্ধ থানায় নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিতে থাকে তাতে তখন শুক্লবৈদ্য ও অনুপম শুক্লবৈদ্য এই কথা শুনে কনস্টেবল এর সাথে বাগযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে তখন কোন দিক দেখতে না পেয়ে পুলিশের কনস্টেবল রাজিব দেবনাথ তার সাথে থাকা সি আর পি এফ জওয়ানদের হুকুম দেয় তাদেরকে লাঠিপেটা করার জন্য তা শুনে সি আর পি এফ এর জোয়ানরা তপন শুক্ল বৈদ্য অনুপম শুক্লাবৈদ্য কে মারতে থাকে আর তাতে করে সি আর পি এফের একজনের লাঠির আঘাতে তপন শুক্লবৈদ্যের মাথার খুলি ফেটে গিয়ে অনেকটা মগজে আটকে যায় পাশাপাশি তার ভাতিজা ও আহত হয়।এরপর তাকে ধরে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং মাথায় সেলাই করে তাকে খোয়াই থানাতে নিয়ে যাওয়া হয় এরপর মাথার আঘাতের কারনে খোয়াই থানাতে তখন শুক্লবৈদ্যের খিচুনি ওঠে তখন সাথে সাথে খোয়াই জেলা হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসা হয় এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।এই ঘটনার খবর পেয়ে বিভিন্ন গাড়িচালক সংঘের কর্মীরা ও আহত তপন শুক্লবৈদ্যের পরিবারের লোকেরা বিকেল চারটা নাগাদ খোয়াই থানাকে ঘেরাও করে এই কারণে দোষী পুলিশ কনস্টেবল রাজীব দেবনাথ কে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। দেখা যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে ২০৮ নং জাতীয় সড়ক চালু হবার পর পুলিশের বিভিন্ন নাকা গুলিতে পুলিশ বিভিন্ন গাড়ি বাইক থেকে ঘুষ নিচ্ছে বিভিন্ন কারণে ।আর সেই কারণেই শুক্রবার তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা না দেবার কারণে এই ঘটনাটি ঘটে ।তবে পুলিশ ঘুষ চেয়ে টাকা না পাওয়ার কারণে কোন ব্যক্তিকে এভাবে মরপিটের ঘটনা প্রথম যা খোয়াই মহাকুমা পুলিশকে কলঙ্কিত করল। তবে এই বিষয়ে থানা ঘেরাও এরপর পুলিশের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসন কান্তি মজুমদার বলেন এই ধরনের কোন ঘটনা তেমন ঘটেনি পুলিশ নাকা চেকিং চলাকালীন গাড়ির ২ আরোহী নাকি মদ মত্ত অবস্থায় ছিল তখন তারা পালাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে অথচ বারবার প্রশ্ন করার সত্ত্বেও গাড়ির এক যাত্রী যে পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে জিবি হাসপাতালে গেছে সেই বিষয়ে একটি কথা বলিনি পুলিশ আধিকারিক প্রসন কান্তি মজুমদার এক কথায় সাংবাদিকদের প্রশ্নটাকে বারবার এড়িয়ে গেছেন আসল ঘটনা থেকে ।এর থেকে বোঝা যাচ্ছে পুলিশ সত্য ঘটনাকে আড়াল করার জন্য ঘটনাটাকে অন্যদিকে মোর দিতে চাইছে এবং পাঁচ হাজার টাকার ব্যাপারটা ও অস্বীকার করছে ।শুধু তাই না পুলিশের লাঠির আঘাতে একজন আহত হয়েছে সেই বিষয়ে একটা কথাও বলেনি পুলিশ আধিকারিক প্রসন কান্তি মজুমদার উনার এই মৌনব্রত থেকে বোঝা যাচ্ছে পুলিশ আসলেই ঘটনাটা ঘটিয়েছিল শুক্রবার বিকেলে বেলফাংএলাকাতেএর থেকে বোঝা যাচ্ছে পুলিশকে ঘুষ না দিলে পুলিশ যে কোন কাউকে মারধর করতে পারে। দিন দুপুরে প্রকাশ্যে পুলিশের কনস্টেবলের ঘুষ চাওয়াএবং তাকে কেন্দ্র করে এক গাড়ির যাত্রীকে মারধর করা এরকম এক নেক্কারজন ঘটনাকে থামাচাপা দিতে খোয়াই মহকুমা পুলিশ প্রশাসন উঠে পড়ে লেগেছে।