খোয়াই প্রতিনিধি ৫ই জুন……সোমবার ৫ই জুন দিনটি ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিবসকে কেন্দ্র করে খোয়াই পুর পরিষদের উদ্যোগে গনকিস্থিত আনন্দমার্গী স্কুলের সামনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয় ।এবং এর পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন ধরনের বাহারি ফুল ও ফলের বাগিচায়ন কর্মসূচি পালিত হয়। সোমবার সকাল 9 টায় এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন খোয়াই এর জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাকুমা শাসক বিজয় সিনাহা, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস, আনন্দমার্গ স্কুলের এডভাইজার কমিটির সভাপতি ধানেশ পাল মহাশয় সহ পুরো এলাকার সমস্ত কাউন্সিলর আনন্দমার্গী স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা অভিভাবক ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত অতিথিরা বিশ্ব পরিবেশ দিবস নিয়ে আলোচনা করেন এবং পরিবেশকে কিভাবে নির্মল ও সচ্ছ করা যায় সেই বিষয়ের উপর আলোচনা করেন পাশাপাশি পরিবেশকে রক্ষা করতে বর্তমান সময়ে বনাঞ্চল তৈরি করা খুবই দরকার বলে মনে করেন। তার জন্য প্রতিনিয়ত গাছ লাগানোর জন্য অনুরোধ রাখেন বক্তারা। শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার বলেন বর্তমান সময়ে কেউ ভাবতে পারিনি ত্রিপুরা রাজ্যের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছবে। কেন এমনটা হল সেই প্রশ্নটাই তুললেন এবং কারণ হিসেবে তিনি বলেন একে একে বনাঞ্চল কে ধ্বংস করে দিচ্ছে বনদস্যুরা যার ফলে পরিবেশ তার ভারসামতা হারিয়ে ফেলেছে বর্তমান সময়ে । তাই বর্তমানে আমাদের ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বসবাস করতে হচ্ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চল সহ ত্রিপুরা রাজ্যটিও পাহাড়ে ঘেরা রাজ্য সেই জায়গায় দাড়িয়ে সামান্য কিছু গরম আমরা উপভোগ করি কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের তাপমাত্রা বেরেই চলেছে এবছর তো ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা আমরা উপভোগ করছি। যদিও একসময় আমাদের রাজ্যে এই পরিবেশ ছিল না। প্রতিদিন বনাঞ্চল নষ্ট হবার কারণে এই পরিস্থিতিতে আমরা আজ দাঁড়িয়ে আছি শুধু সচেতনতার অভাবের কারণে। এরপরও ত্রিপুরা রাজ্যে কিছু বনাঞ্চল থাকার দরুন আমরা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। শুনে থাকতাম দেশের অন্যান্য রাজ্যের মানুষ ৪০ ডিগ্রি ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বসবাস করছে তার কিছুটা প্রভাব এবছর ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ পেয়েছে এরপর বলব প্রত্যেকটা মানুষ যদি সচেতন হয়ে যায় এবং প্রতিনিয়ত বৃক্ষ রোপন করে তাহলে ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবেশকে আমরা আগের মত শান্ত ও স্নিগ্ধ গড়ে তুলতে পারব তাই তিনি প্রত্যেকটি মানুষের কাছে আবেদন রাখেন বনাঞ্চলকে নষ্ট না করার জন্য পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বৃক্ষরোপণ করার জন্য। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা আনন্দমার্গি স্কুলের সামনে নিজেদের হাতে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের চারা রোপন করেন পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত মিশনের অঙ্গ হিসেবে সমস্ত অতিথিরা আনন্দমার্গী স্কুলের ভিতরে সাফাই অভিযান করেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস কে কেন্দ্র করে খোয়াই জেলাশাসক এবং মহাকুমা শাসক সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গনকি আনন্দমার্গী স্কুল প্রাঙ্গণ উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষরোপণ করেন। পাশাপাশি কিভাবে পরিবেশকে রক্ষা করা যায় ও বনাঞ্চল তৈরি করে বা বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা করা যায় সেই বিষয়ে বক্তৃতা রাখেন। অথচ সেখানে উপস্থিত অনেক সাধারণ মানুষ একটি প্রশ্ন করতে দেখা গেছে বড় বড় আধিকারিকরা বলছে বৃক্ষ রোপনের জন্য অথচ জেলাশাসকের কার্যালয়ে একটি বহু পুরন বটগাছ ছিল সেই বট গাছের ছায়া তলে দাঁড়িয়ে অনেক পথিক বিশ্রাম নিতে পারত প্রচন্ড দাবদাহ এর মধ্যে। তাছাড়া জেলাশাসকের অফিস অথবা আইনজীবীদের কাছে আসা বিভিন্ন লোক বিভিন্ন সময়ে সেই বট গাছের ছায়া তলে বিশ্রাম নিতে পারত কিন্তু কোন কারণবশত সেই বট গাছটিকে কেটে ফেলা হলো সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না অনেকেরই। যার কারণে সমস্ত জেলাশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে বটগাছটি না থাকার কারণে প্রচন্ড রোদে ধু ধু করছে এবং বিভিন্ন অফিস আদালতে কাজ করতে আশা সাধারণ মানুষ প্রচন্ড দাবদহের মধ্যে একটু বৃক্ষের ছায়ার জন্য হাসপাস করতে দেখা গেছে। তাইতো অনেকে মন্তব্য করছেন বড় বড় আধিকারিকরা বিশ্ব পরিবেশ দিবস কে কেন্দ্র করে বলছেন বৃক্ষরোপণের জন্য আর অন্যদিকে বড় বড় বটবৃক্ষকে কেটে নিজ নিজ অফিস প্রাঙ্গণটিকে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বড় বড় গাছগুলিকে নিধন করে চলেছে তাহলে বৃক্ষ রোপনের মানেটা কি দাঁড়ালো সেই প্রশ্নটাই করছে খোয়াই মহাকুমার সাধারণ জনগণ।



