Friday, November 14, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদচন্দন কাঠ প্রচার করতে গিয়ে গাড়ি শুদ্ধ পাঁচ যুবক পুলিশের জালে আটক...

চন্দন কাঠ প্রচার করতে গিয়ে গাড়ি শুদ্ধ পাঁচ যুবক পুলিশের জালে আটক ঘটনা খোয়াই চেরমা এলাকাতে

বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই খোয়াই থানাধীন চেরমা এলাকাতে খোয়াই থানার পক্ষ থেকে নিয়ম মাফিক নাকা চেকিং পয়েন্টে বসানো হয়। সেই নাকা পয়েন্টে তল্লাশি চলাকালীন একটি অলটো গাড়ি থেকে চন্দন কাঠ সহ ৫ জন পাচারকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে খোয়াই থানার পুলিশ। ঘটনার বিবরণ দিয়ে খোয়াই থানার পুলিশ জানায় প্রতিদিনের মতো খোয়াই চেরমা এলাকাতে নাকা চেকিং পয়েন্টে বিভিন্ন গাড়ি গুলিতে তল্লাশির সময় সন্দেহভাজন আসাম রাজ্যের AS31B3426 নাম্বারের একটি লাল রঙের অলটু গাড়ি করে পাঁচজন যাচ্ছিল আসাম রাজ্যের উদ্দেশ্য। পুলিশ গাড়িটি দেখে সন্দেহ হওয়াতে গাড়িটিতে তাল্লসি করার ফলে গাড়ির ভেতর থেকে নয় কেজি চন্দন কাঠ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে যার বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা বলে জানা যায়। ধৃতদের জবানবন্দি থেকে জানা যায় এই চন্দন কাঠ গুলি সিধাই মোহনপুর থানা এলাকা থেকে আসাম রাজ্যের উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। পরবর্তী সময়ে পুলিশ চন্দন কাঠ ও গাড়ি সহ পাচারকারী পাঁচজনকে আটক করেন এই পাঁচ পাচারকারীরা হলো আক্তার হোসেন, আব্দুল মালিক, দিলওয়ার হোসেন, বশির উদ্দিন এবং মৃদু জল রহমান। তারা প্রত্যেকেই আসাম রাজ্যের বাসিন্দার। যেহেতু চন্দন কাঠ বনজ বিষয় তাই খোয়াই থানার পুলিশ চন্দন কাঠ সহ ৫ পাচারকারী ও গাড়ি সহ বন দপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেন। আর এইদিকে বন দপ্তর কুম্ভ নিদ্রা যে আচ্ছন্ন এই বিষয়ে ছোট্ট একটি উদাহরণ পাওয়া গেল এই নয় কেজি চন্দন কাঠ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে। ত্রিপুরার বন জঙ্গল ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে যে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এর মধ্যে চন্দন কাঠ পাচারকারীরা রাজ্যে নতুন করে মাথাটা চারা দিয়ে উঠছে যদিও চন্দন চাষের জন্য ত্রিপুরার আবহাওয়া সঠিক নয় এরপরও কিছু কিছু মানুষ অল্পবিস্ত চন্দন চাষ করে থাকেন আর পাচারকারীরা ওই চাষাবাদ কারি চন্দন গাছের মালিকদের খোঁজখবর করে চন্দন কাঠ কেটে বহিরাজ্য পাচারের উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহাকুমাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু চন্দন কাঠ পাচারকারী নয় আগর পাচারকারীরও রাজ্যে প্রচুর রয়েছে এবং বন বিভাগকে ঘুমে রেখে প্রচুর আগর বহি রাজ্যে পাচার করে দিচ্ছে । অথচ দেখা যাচ্ছে পাচার কারিরা আসাম রাজ্য থেকে এসে চন্দন কাঠ পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে বন দপ্তরের আধিকারি থেকে সমস্ত কর্মীরা কুম্ভনিদ্রায় রয়েছে সেই বিষয়ে কোন হেলদুলে নেই বনবিভাগের। যেহেতু বিষয়টা বন দপ্তরের বন দপ্তর এই পাঁচজন পাচারকারীর মাধ্যমে বনজ সম্পদের পাচার বাণিজ্যের সাথে জড়িত বড় রাঘববোয়ালদের কে জালে তুলতে পারে কিনা না টাকা খেয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় সেই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ জনমনে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

seventeen + sixteen =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য