জানা যায়, করইলং এলাকার শান্তি পাড়ার বাসিন্দা তপন দাসের পুত্র তুষার দাস আগরতলার বাধারঘাট এলাকায় তার পিসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে রবিবার সকাল নাগাদ তুষার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আগরতলার যেই বাড়িতে তার মৃত্যু হয়েছে সেই বাড়ির লোকেদের দাবি হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে তুষারের। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওই বাড়ির লোকজন তুষারের মরদেহ সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে অনেকটা চুপিসারে তেলিয়ামুড়া’তে পাঠিয়ে দেয়। জানা গেছে,, মৃতদেহের শরীরে রয়েছে একাধিক ক্ষত সহ রক্তের দাগ রয়েছে। কিন্তু ছেলের মৃতদেহের মধ্যে ক্ষত চিহ্ন এবং রক্তের দাগ প্রত্যক্ষ করে পুত্রহারা পিতা তপন বাবু সিদ্ধান্ত করেন কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়টা নিশ্চিত হতে হবে। এরপর নজিরবিহীনভাবে মৃতদেহ বাড়ি থেকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। যদিও এখন অপেক্ষা ময়নাতদন্তে কি বেরিয়ে আসে। কিন্তু এরপরেও এই মৃত্যু একরাশ প্রশ্ন চিহ্নের জন্ম দিয়েছে। মৃতদেহের পারিপার্শ্বিক অবস্থান দেখে সবার একটাই প্রশ্ন তুষার যে বাড়িতে গিয়েছিল সেই বাড়িতে যদি সে অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে তাকে কেন নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি? আরো প্রশ্ন উঠছে তুষারের মৃত্যু যদি স্বাভাবিক হয়ে থাকে তাহলে তার গায়ে ছাপ ছাপ রক্তের দাগ সহ ক্ষত চিহ্ন গুলা কোথা থেকে আসলো? তরতাজা যুবক তুষারের মৃত্যুর পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশে না জানিয়ে কিংবা স্থানীয়ভাবে বিষয়টাকে গোপন রেখে কেন তড়িঘড়ি তেলিয়ামুড়া’তে নিয়ে আসা হল এটাও কিন্তু প্রশ্ন উঠছে? অর্থাৎ মোদ্দা কথা হচ্ছে,, নিকট আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে তুষারের এই অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্য তৈরি করেছে, এখন অপেক্ষা এই রহস্যের কি কূল কিনারা হয়! নাকি চিরদিনের মত লাল ফিতার বাঁধনে আটকে থাকে তুষারের মৃত্যু রহস্য! তবে শেষ খবর লেখা পর্যন্ত, তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের মর্গে রয়েছে তুষারের মৃতদেহ। এদিকে গোটা দিন ধরে পুলিশ এ বিষয়ে মুখ না খুললেও রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তেলিয়ামুড়া থানার সেকেন্ড ওসি নন্দন বৈদ্য সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন,, তুষার দাস নামের ঐ যুবক সর্বনাশা ড্রাগসের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত ছিল। তাছাড়া এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিত দেববর্মা ঘটনার জোর তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে, ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজতে আগরতলার বাধারঘাট এলাকার সেই আত্মীয়র বাড়িতে তদন্ত করছে। তবে সমস্ত কিছুই খোলাসা হবে ময়নাতদন্তের পর।



