নয় মাসের এক গর্ভবতী মহিলা নিজ শিশুকে জন্ম দেওয়ার একদিন আগে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করলো। ঘটনাটি ঘটে খোয়াই মহিলা থানার অন্তর্গত পূর্ব গণকি এলাকাতে বুধবার সকালে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে মহিলা থানার পুলিশ জানায় খোয়াই থানার অন্তর্গত পূর্ব গনকি এলাকার বাসিন্দা সুমন্ত দেববর্মার নয় মাসের অন্তরসত্ত্বা স্ত্রী সমিতা দেববর্মা( ৩৫) মঙ্গলবার বিকেলের পর কোন এক সময় বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি জঙ্গলে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ এও জানায় মৃত সমিতা দেববর্মা ৯ মাসের গর্ভবতী ছিল এবং বুধবার সকালে খোয়াই জেলা হাসপাতালে সিজার করে নবাগত শিশুটিকে পৃথিবীর আলো দেখানোর কথা ছিল। সেই মোতাবেকই মঙ্গলবার দুপুর তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা নাগাদ হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্য চুরিদার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বাড়ির লোকের চোখের অন্তরালে এর কিছুক্ষণ পর স্বামী সুমন্ত দেববর্মা সহ বাড়ির অন্যান্য লোকেরাও মহিলাকে খুঁজতে থাকে কোথাও খুঁজে পাইনি এমনকি সারারাত ধরে মহিলাকে খুঁজা হয় কারণ মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হবার কারণে যদিও মঙ্গলবার রাত অব্দী মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে বুধবার সকাল থেকে আবার খোঁজ চলে মহিলা বাড়ির লোক এবং এলাকাবাসী দুই তিন দলে বিভক্ত হয়ে মহিলাকে খোঁজার জন্য পুরো এলাকাতে তল্লাশি চালায় সকাল এগারোটা নাগাদ মৃত মহিলার শশুর মনোরঞ্জন দেববর্মা বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে দেখতে পায় তা দেখে শশুর মনোরঞ্জন দেববর্মা চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায় উনার চিৎকার অন্যান্যরা ছুটে আসে এবং সমস্ত ঘটনাটি দেখতে পায় এরপর খবর দেওয়া হয় মহিলা থানায় শেষে মহিলা থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে খোয়াই জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে। অন্যদিকে মৃত মহিলা শমিতা দেববর্মার আত্মীয় পরিজন এবং পূর্ব গণকি এলাকার লোকজন জানায় মহিলার আগের একটি তিন বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে সেই কন্যা সন্তান জন্ম হবার কিছুদিন পর থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিল এরই মধ্যে সামান্য কিছু চিকিৎসাও করা হয় তদুপরি কয়েক মাস আগে মহিলা আবার গর্ভবতী হয়ে পড়ে। মহিলা গর্ভবতী হওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত বলতেই পারেনি যে মহিলা গর্ভবতী হয়ে রয়েছে। তা না বলার কারণ মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী ও আত্মীয় পরিজনরা। যদিও পরে স্বামী সুমন্ত দেববর্মা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ কে দেখান এরপর যথারীতি চিকিৎসা চলতে থাকে যাতে করে মার পেটে থাকা শিশুটি এই পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। এবং সেই মোতাবেক মঙ্গলবার বিকালে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ভর্তি হবে এবং বুধবার সকালে সিজারের মাধ্যমে শিশুটিকে পৃথিবীর আলো দেখানোর কথা ছিল কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হীনতার কারণে ৯ মাসের গর্ভবতী সমিতা দেববর্মা গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এতে করে মার পেটে থাকা অবস্থাতেই পৃথিবীর আলো দেখতে না পেরে মার সাথে মৃত্যু হল একটি শিশুর। এই ঘটনায় সমস্ত পূর্ব গনকি এলাকাতে শোকের ছায়া নেমে আসে। শেষে বিকালে ময়নাতদন্তের পর সমিতা দেববর্মার মৃতদেহ উনার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে মহিলা থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নেয়।



