মঙ্গলবার দুপুর গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খোয়াই এনটি ড্রাগস কমিটি এবং পুলিশের যৌথ উদ্যোগে খোয়াই লাল ছাড়া নজরুল চৌহমুনি এলাকার বাসিন্দা কেশব ভৌমিকের বাড়ি থেকে এক নেশা কারবারি সহ তিন যুবককে আটক করে পুলিশ। ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ জানায় মঙ্গলবার দুপুর একটি গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এন্টি ড্রাগস কমিটি এবং খোয়াই থানার পুলিশ লাল ছড়া কেশব ভৌমিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলাকালী কেশব ভৌমিকের ছেলে জয়ন্ত ভৌমিক সহ আরো তিন নেশাখোর কে আটক করে পুলিশ। পুলিশ যখন এই বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল তখন নেশা কারবারি জয়ন্ত ভৌমিক তিন যুবককে ব্রাউন সুগার ইনজেকশনের সিরিঞ্জ প্রদান করে তেমনি অবস্থায় পুলিশ তাদের ঘরে ছাপা মারে। পুলিশের ছাপামারা কালীন অবস্থাতেই নেশা কারবারি ও তিন নেশাখোর তাদের নেশা সামগ্রী বাইরের ড্রেনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে তিন নেশাখোর যুবক এরা হলো রুশেল দেববর্মা ১৯ এবং তার ভাই তুষার দেববর্মা ১৭ খোয়াই আমপুরা এলাকার বাসিন্দা গিরীন্দ্র দেববর্মার ছেলে, অন্যজন চাম্পা হাওয়ার এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্র দেববর্মার ছেলে প্রহর দেববর্মা (২০) তাদের কাছ থেকে সামান্য পরিমাণে ব্রাউন সুগার উদ্ধার করে পুলিশ। এখানে বলা বাহুল্য নেশা কারবাড়ি জয়ন্ত ভৌমিক কে খোয়াই থানার পুলিশ গত 8 থেকে 10 মাস আগে আগরতলা এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করেছিল নেশা কারবারের সাথে যুক্ত থাকার কারণে। যদিও কিছুদিন পর আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় নেশা বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। লাল ছড়া এলাকাবাসীর বক্তব্য নেশা কারবারি জয়ন্ত ভৌমিক নিজ বাড়িতে বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের নেশার সামগ্রী বিক্রি করে থাকে এবং বাড়িতে বসেই অল্প বয়সের যুবকরা সেই নেশা গ্রহণ করে সিরিঞ্জের মাধ্যমে। আর তাতে করে নেশা কারবারি জয়ন্ত ভৌমিকের কারণে সমস্ত লাল ছড়া এলাকাটি দূষিত হয়ে পড়ে বলে জানায়। অবশেষে খোয়াই থানার পুলিশ ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে।



