Thursday, November 13, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদউদ্বোধন হল খোয়াই টাউন হলে পুর পরিষদের উদ্যোগে চারদিন ব্যাপী স্কুল ভিত্তিক...

উদ্বোধন হল খোয়াই টাউন হলে পুর পরিষদের উদ্যোগে চারদিন ব্যাপী স্কুল ভিত্তিক আন্ত বিদ্যালয় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার

খোয়াই পুর পুরিদের উদ্যোগে ২রা মে সকাল ১১ টায় পুরাতন টাউন হলে উদ্বোধন হলো চারদিন ব্যাপী আন্ত বিদ্যালয় একাঙ্ক নাটক
প্রতিযোগিতার। এই দিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, এছাড়া অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই মহকুমা শাসক বিজয় সিনাহা, পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা,পুর কাউন্সিলর সহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা চলবে আগামী ৪ঠা মে পর্যন্ত। এই প্রতিযোগিতায় নয়টি স্কুল অংশগ্রহণ করেছে। প্রথম দিন উদ্বোধনের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে মঞ্চস্থ করবে সোনাতলা দ্বাদশ শ্রে বিদ্যালয়ের নাটক আসন্ন ঝরের অশনি সংকেত। এবং তৃতীয় পর্যায়ে শরৎচন্দ্র দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নাটক রেড সিগনাল। অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার বলেন নাটকের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের কাজ করা যায়। এক কথায় নাটকের মাধ্যমে সমাজকে সচেতন করে তোলা এবং সমাজের আবর্জনাকে কিভাবে পরিষ্কার রাখা যায় তার বার্তা দেওয়া যায় পাশাপাশি নাটকের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তাভাবনা দূর দূরদর্শিতা জাগিয়া তোলা যায় সমাজের প্রতি। যদিও এক সময় খোয়াই শহরকে নাটকের জন্মভূমি বলা হত কিন্তু কালক্রমে সেই নাম আজ অস্তমিত যার ফলে নাটকের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে খোয়াই পুরো পরিষদ এগিয়ে এসেছে নাট্য সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে । এদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চের বিশেষ অতিথি খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা বলেন নাট্যচর্চার জন্য সমস্ত ত্রিপুরা সহ ভারতবর্ষের লোক সংস্কৃতির পিঠস্থান হিসেবে খোয়াইকে চিনত যা ছিল বাস্তব সত্যি কথা। নাট্য চর্চা নিয়ে খোয়াই এর বিভিন্ন নাটকের ক্লাবগুলি নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকতো তারমধ্যে নাট্য সংসদ, কালচারাল কেম্পিন, শুভম নাট্য চক্র, মনিপুরীদের একটি নাটকের দল সহ খোয়াই শহরে অনেকগুলি নাট্য দল তাদের নাট্য চর্চা করতো । তার জন্য এই পুরাতন টাউন হলে একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার আয়োজন করত কালচারাল ক্যাম্পিংন শেখর স্মৃতি একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার অঙ্গ হিসেব এই আয়োজনে রাজ্য থেকে শুরু করে আসাম সহ শিলচর, বদরপুর ,হাইলাকান্দি করিমগঞ্জ, কোলকাতা, বাংলাদেশ থেকে বিখ্যাত বিখ্যাত নাট্য দলগুলি এই টাউন হলের মঞ্চের নাটকগুলি উপস্থাপন করতো তাছাড়া নাট্য সংসদের নাট্য মেলাতেও পূর্ণাঙ্গ নাটক প্রতিযোগিতায় প্রচুর নাটক দল অংশগ্রহণ করত। আর সেই নাট্য দলগুলির নাটক দেখতে টাউন হলে উপচে পড়া ভির লক্ষ্য করা যেত দেখে যেন মনে হতো কোন উৎসব চলছে। কিন্তু কালক্রমে খোয়াই এর প্রত্যেকটি নাট্যদল গলির মধ্যে যখন রাজনীতির সুড়সুড়ি শুরু হয় তখন থেকেই নাট্য চর্চার দিক থেকে অনেক ভালো ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রী তাদেরকে সেই জায়গা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেয়। অথচ একসময় খোয়াইয়ের বিভিন্ন নাট্য দলগুলি অল ইন্ডিয়া নাটক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কিন্তু সেখান থেকে নাট্য সংসদের নাম ইতিহাসে লেখা রয়েছে ভালো নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য যা বেশ কয়েকবার প্রথম স্থানাধি কারী নাট্য সংসদ যা এখানে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর এই কাজটি করেছিল খোয়াই এর বিশিষ্ট কয়েকজন নাট্য পরিচালক। আর এই পরিচালকেদের হাতে প্রথম শুরু হয় নাট্য চর্চায় রাজনীতির হস্তক্ষেপ। আর তখন থেকে নাটকে রাজনীতি প্রবেশ করার ফলে নাটকের গুণ গত মান দিন দিন কমতে থাকে এর ফলে টাউন হল থেকে নাটক দেখার দর্শক পিছুটান মারে। আর এরপর চলে আসে কেবলের যোগ আর তাতে করে নাটক একেবারেই দেখা বন্ধ করে দেয় দর্শকগণ। যদিও রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নাট্য চর্চায় রাজনীতিকে ঢুকিয়ে পেরেক মেরে বন্দি করে দেয় খোয়াই শহরের বিখ্যাত নাট্য পরিচালকরা নিজেদের সত্তাকে জাহির করার লক্ষ্যে। অবশেষ দেবাশীষ নাথ শর্মা বলেন খোয়াই শহরে নামিদামি বেশ কয়েকটি নাট্যচর্চার সংস্থা রয়েছে বর্তমান সময়ে তারা কোন ধরনের নাট্য চর্চা করেন না এমনকি তাদের সংস্থাতেও নাট্য চর্চা বা পরিচালনা করার কোন লোক নেই, না আছে কোন সদস্য যদি থেকে থাকে তারা নামকাওয়াস্তে সংগঠনের নামটির সাইনবোর্ড বানিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এক কথায় বর্তমান সময়ে খোয়াই শহরের নাট্য চর্চা সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে পরিচিত বর্তমানে নামটি অন্তর্জলী যাত্রার মুখে। না হলে সরকার অথবা পুর-পরিষদের উদ্যোগে নাট্যচর্চা কে বাঁচিয়ে রাখতে এই ধরনের চর্চা একসময় খোয়াইতে হত সেই বিষয়টা বর্তমান প্রজন্মের কাছে বার্তা দিতে খোয়াই পুর পরিষদকে এগিয়ে এসে স্কুল ভিত্তিক একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হচ্ছে। এক সময় এই নাট্য চর্চার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন রূপের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের বাস্তবিকতা নাটকের মাধ্যমে দর্শকের সামনে প্রতিস্থাপন করা হতো যাতে করে সমাজের মানুষ কিছু শিখতে পারে এবং শেখাতে পারে এই ছিল নাট্যচর্চার উদ্দেশ্য পাশাপাশি আনন্দ উপভোগেরও স্থান ছিল নাট্য চর্চা কিন্তু কাল ক্রমে আজ লুপ্তপ্রায়। যাইহোক পুরো পরিষদের উদ্যোগ স্কুলের শিশুদের মাধ্যমে নাট্যচর্চা কে বাঁচিয়ে রাখতে খোয়াই পুর পরিষদ এগিয়ে এসে চার দিন দিন ব্যাপী স্কুল ভিত্তিক একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তাতে খোয়াই শহরের অনেক পুরনো নাট্য দর্শক পুরো পরিষদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

twelve + 16 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য